আগরতলা: দীর্ঘ দিন পর খুলেছে স্কুল-কলেজের দরজা৷ ক্লাস করার অনুমতি পেয়েছে ছাত্ররা৷ কিন্তু কেমন চলছে পঠন পাঠন? নিজের চোখে হালহকিকত খতিয়ে দেখতে আচমকাই স্কুল পরিদর্শনে পৌঁছলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী৷ আচমকা মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ফাঁপড়ে পড়লেন স্কুলের শিক্ষিকারা৷ একই হাল কলেজেও৷
আরও পড়ুন- আড়াই কোটির বৃত্তি ১৯ বছরের মেধাবীর, পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে
মঙ্গলবার আচমকাই একটি স্কুল পরিদর্শনে যান ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷ সেই সময় স্টাফরুমে বসেছিলেন শিক্ষিকারা৷ পরে এক শিক্ষকও স্টাফরুমে আসেন৷ দশম শ্রেণির ছাত্রীরা কেন ক্লাসে আসেনি জানতে চান শিক্ষামন্ত্রী? তারিখ ধরে কবে কত জন ছাত্রী এসেছে তার হিসেবও নেন তিনি৷ শিক্ষিকারা জানান, রোজই চার-পাঁচ জন করে ছাত্রী আসছে৷ তবে আজ কেউ আসেনি৷ সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর প্রশ্ন- ‘ছাত্রীরা আজকে কেন আসেনি? তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে কি?’ শিক্ষিকারা মাথা নেড়ে জবাব দিলেও শিক্ষামন্ত্রী ছাড়ার পাত্র নন৷ তিনি বলেন, যে কোনও ছাত্রীকে আমার সামানে থেকে ফোন করুন৷ ছয় শিক্ষিক-শিক্ষিকাকে ছয়জন পড়ুয়াকে ফোন করার নির্দেশ দেন তিনি৷ প্রসঙ্গ, এই স্কুলে দশম শ্রেণির মোট ১৪ জন ছাত্রী রয়েছে৷
শিক্ষক-শিক্ষিকারা ফোনে মাত্র দু’জন ছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন৷ ওই দুই পড়ুয়াদের সঙ্গে নিজে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ কেন স্কুলে আসেননি জানতে চান৷ আগামীকাল থেকে স্কুলে আসার কথাও বলেন তাদের৷ বাকিদের কথা জানতে চাইলে এক শিক্ষিকা বলেন, স্যার নম্বর বদলে গিয়েছে৷ শুনেই তাঁর ধমক, ‘আপনারা হোয়াটসঅ্যাপে যদি যোগাযোগ করেই থাকেন তাহলে নম্বর নেই কেন? তার মানে আপনারা ১৪ জনের নম্বর জানেন না?’ ফোন নম্বর নিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকারা গরিমশি শুরু করতেই বিরক্ত হয়ে যান রতন লাল নাথ৷ তিনি বলেন, ‘‘হয় কল করুন না হয় সত্যটা বলুন আপনারা ছাত্রীদের নম্বর জানেন না৷’’ এর পরেই তাঁর কড়া নির্দেশ, প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেরা ছাত্রীদের বাড়ি গিয়ে স্কুলে আসার কথা বলবেন৷ দায়িত্ব ভাগ করে কাজ করান নির্দেশও দেন তিনি৷
আরও পড়ুন- IIT-র দরজা খুলতেই করোনা সংক্রমণ, আক্রান্ত ৬৬ পড়ুয়া!
এর পর তিনি যান বারদোয়ালি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলেও৷ সেখানে গিয়েও তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন৷ স্কুলে গিয়ে অবশ্য ছাত্রদের দেখা পান তিনি৷ কী ভাবে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে বসবেন সেই পরামর্শও দেন শিক্ষামন্ত্রী৷ কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী গিয়েছিলেন এমবিবি কলেজেও৷ কলেজে ঢুকেই সকলকে দূরে দূরে থাকার নির্দেশ দেন তিনি৷ সকলকে মাস্কও পড়তে বলেন৷ কী ভাবে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে, অধ্যাক-অধ্যাপিকাদের সঙ্গে সেই বিষয়ে আলোচনা করেন রতন লালা নাথ৷