কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য৷ এই ধরনের প্রতারণার ঘটনা ভ্যাকসিনের প্রতি মানুষের বিশ্বাস নষ্ট করে দিতে পারে৷ এটা রাজনীতি করার সময় নয়৷ মানুষের পাশে থাকার সময়৷ শনিবার সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই বললেন ফিরহাদ হাকিম৷ তিনি আরও বলেন, যাঁরা ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন, তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করে দেখছেন মেডিক্যাল কলেজ ও কর্পোরেশনের চিকিৎসকরা৷ তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেবে কমিটি৷ শান্তনু ত্রিপাঠীর নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ কমিটিতে রয়েছেন জিকে ঢালি, সৌমিত্র ঘোষ ও জ্যোতির্ময় পাল৷
আরও পড়ুন- প্রতারণার কারবার শুরুর আগে আস্থা অর্জনে অন্য ভেক! কী করেছিলেন দেবাঞ্জন?
এদিন ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, একটি বেসরকারি কেন্দ্রে গিয়ে মানুষ প্রতারিত হয়েছে৷ এর অর্থ গোটা ব্যবস্থাটাই খারাপ নয়৷ সকলকে টিকা নেওয়ার অর্জিও জানান তিনি৷ ফিরহাদ জানান অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে৷ তবে যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁরা ও তাঁদের পরিবার মানসিক অস্থিরতার মধ্যে, আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন৷ তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি রাজনীতি করে৷ আমরা মানুষকে বাঁচাই৷ যখন আম্পান হয়েছিল, করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছিল, তখন বিজেপি নেতাদের দেখা যায়নি৷ সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম আর এই কর্পোরেশন মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে৷ আজ একটা ঘটনার জন্য আঙুল তোলা হচ্ছে৷ ’’ করজোড়ে তাঁর আর্জি, ভ্যাকসিন নিতে হলে হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল এবং কলকাতা কর্পোরেশনের যতগুলি কেন্দ্র আছে সেখান থেকে টিকা নিন৷ সেই সঙ্গে তাঁর আশ্বাস এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে৷
আরও পড়ুন- অভিনব প্রতিবাদে সামিল মদন, চালালেন রিকশা
এদিন ফলক বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই মেজাজ হারিন তিনি৷ বলেনস নরেন্দ্র মোদী যখন নীরব মোদীর সঙ্গে বৈঠক করে, তখন কী কোনও কেলেঙ্কারি হয় না৷ কোনও একজনকে হাতজোড় করে নমস্কার করলেই কেলেঙ্কারি৷ কে কোথায় কী ফলক লাগিয়েছে তাতে কী করা যাবে৷