কলকাতা: এনআরএস হাসপাতালে ডোম নিয়োগের জন্য সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল৷ কিন্তু ৬টি পদের জন্য আবেদন জমা পড়ে প্রায় ৮ হাজার৷ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল এই পদের ন্যূনতম যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ৷ কিন্তু আবেদনকারীদের মধ্যে ২ হাজারের বেশি স্নাতক৷ প্রায় ৫০০ জন স্নাতকোত্তর এবং ১০০ জন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিগ্রিধারী৷ যা আরও একবার রাজ্যে কর্মসংস্থানের বেহাল দশা তুলে ধরেছে৷ রাজ্যে বেকারত্ব ইস্যুকে হাতিয়ার করে সরব হলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতার ভাই
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন এগিয় বাংলা৷ প্রতি বছর বেঙ্গল সামিট হচ্ছে৷ ১২ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে বলে মৌ চুক্তি সাক্ষর হয়েছে৷ অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন ২৮ লক্ষ চাকরি হবে৷ সাধারণ মানুষ জানতে চায় এই টাকা কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে? কোথায় ২৮ লক্ষ চাকরি হয়েছে? এত বিনিয়োগ হয়ে থাকলে চাকরি কেন হচ্ছে না? অষ্টম শ্রেণি পাশ ডোমের চাকরির জন্য কেন ইঞ্জিনিয়র, স্নাতক, স্নাতকোত্তর প্রার্থীরা আবেদন করছেন?
আরও পড়ুন- বেআইনি অ্যাসিড কারখানার হদিশ, উদ্ধার ৪৫০ লিটার অ্যাসিড
তিনি আরও বলেন, এগিয়ে বাংলা মানে কি ঋণের দিক থেকে এগিয়ে বাংলা? এই বছরের শেষে সাড়ে ৫ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ চাপবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপর৷ এত টাকা বিনিয়োগের পরেও কোথায় গেল চাকরি? সবটাই কি কাটমানি হয়ে যাচ্ছে? পশ্চিনবঙ্গে বেকারত্বের হার ২৬ শতাংশ৷ এই দিক থেকে দেখলে পার্শ্ববর্তী রাজ্যের থেকে এগিয়ে বাংলা৷ তাঁর কথায়, নিউটাউনে যে সিলিকন ভ্যালি উদ্বোধন করা হয়েছিল, সেখানে এখন গরু চড়ছে৷ যে সিঙ্গুর থেকে টাটাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে কাশ ফুলের সমাহার৷ এখন টাটাকে ফেরাতে হাতেপায়ে ধরা হচ্ছে৷ রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ বাংলার ছেলেরা গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, দিল্লি, উত্তর প্রদেশে চাকরি করতে যাচ্ছে৷ এর পরেও মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন৷ বাংলার বেকাররা কোথায় যাবে?