গেরুয়া রথে বাধা, তৃণমূল-বিজেপি’র সংঘর্ষে ধুন্ধুমার উত্তরপাড়া

গেরুয়া রথে বাধা, তৃণমূল-বিজেপি’র সংঘর্ষে ধুন্ধুমার উত্তরপাড়া

উত্তরপাড়া:  উত্তরপাড়ায় পরিবর্তন যাত্রাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার৷ উত্তরপাড়ার শিবতলা ঘাট এলাকায় বিজেপি’র রথ যাত্রাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায়৷ বিজেপি’র অভিযোগ, এদিন সকালে তাঁদের পরিবর্তন যাত্রাকে বানচাল করতে রথের নির্ধারিত যাত্রাপথ অবরোধ শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তির আগুন উত্তরপাড়ায়৷ 

আরও পড়ুন-  ‘আমার ভুলের সাজা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবেন না’, প্রকাশ্য সভামঞ্চে ‘ক্ষমাপ্রার্থী’ অনুব্রত

এদিন রথ নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছতেই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে৷ অশান্তি চরমে পৌঁছয়৷ চলে স্লোগান৷ উত্তরপাড়া শিবতলা শ্মশানঘাট থেকে এদিন শুরু হয়েছিল বিজেপি’র রথযাত্রা৷ সেখানেই এই পরিবর্তন যাত্রাকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ বাধে৷ তৃণমূলের অভিযোগ, এই রথযাত্রায় যে মাইকিং করা হচ্ছিল, সেখানে তৃণমূল নেতাদের নামে কটূক্তি করা হয়েছে৷ তার প্রতিবাদ জানিয়েই রাস্তা অবরোধে করা হয়৷ রথ যাত্রায় তাদের কোনও অপত্তি নেই৷ এদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি৷ কটূক্তির কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন তাঁরা৷ পাল্টা আভিযোগ, তাঁদের রথ যাত্রা আটকাতেই মিথ্যে অভিযোগ এনে অবরোধে বসেছে তৃণমূল৷ এদিকে, এই অশান্তির খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উত্তরপাড়া থানার পুলিশ৷ পুলিশ পৌঁছনোর আগেই দুই শিবিরের মধ্যে হাতাহাতি বাধে৷ পরে পুলিশ এসে দুই দলের সমর্থকদেরই সেখান থেকে সরিয়ে দেয়৷ বেশ কিছুক্ষণ অশান্তির পর আপাতত অবরোধ উঠে গিয়েছে৷ ফের এগোতে শুরু করেছে বিজেপি’র রথ৷  

এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেত্রী বলেন,  ৮ নম্বরের কাউন্সিলর এবং তাঁর পার্টি অফিসের সামনে কিছু লোক জড়ো হয়ে ঝাণ্ডা হাতে নেয়৷ তারপরেই তাঁরা রাস্তা অবরোধ করে৷ এমনকী অ্যাম্বুলেন্সও আটকে দেওয়া হয়৷ আমাদের রথযাত্রা শান্তিপূর্ণ ভাবেই এগোচ্ছিল৷ রথ যাত্রা বানচাল করতে এখানে অরজকতা সৃষ্টি করা হয়৷

আরও পড়ুন- প্রথম প্রার্থী তালিকা বুধবার, দ্বিতীয় শুক্রবার! মেপে ‘পা ফেলছে’ তৃণমূল

তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, তাঁদের অফিসের সামনে মাইক বেঁধে ইচ্ছে করে উস্কানিমূক কথা বলে সকাল অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছিল বিজেপি৷ তাঁদের দলনেত্রীর নামে কুকথা বলা হয়েছে৷ সেই সময় দফতরে মহিলা কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়৷ আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷ বাংলার মা-বোনেদের যারা সম্মান দিতে পারে না, বাংলার মাটিতে রাজনীতি করার কোনও অধিকার তাঁদের নেই৷’’     

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + 11 =