‘আমার ভুলের সাজা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবেন না’, প্রকাশ্য সভামঞ্চে ‘ক্ষমাপ্রার্থী’ অনুব্রত

‘আমার ভুলের সাজা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবেন না’, প্রকাশ্য সভামঞ্চে ‘ক্ষমাপ্রার্থী’ অনুব্রত

বীরভূম: ভোটের আগে নরমে গরমে চড়েছে রাজনৈতিক পারদ৷ বাড়ছে নেতাদের আক্রমণের ঝাঁঝ৷ তারই মাঝে রাজনীতির রণাঙ্গনে  ‘ক্ষমাপ্রার্থী’ অনুব্রত মণ্ডল! প্রকাশ্য জনসভায় হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলেন বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি৷ কাতর আর্তি, তাঁর অপরাধের শাস্তি যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া না হয়৷ 

আরও পড়ুন-  পীরজাদা আব্বাস ধর্মনিরপেক্ষ, মৌলবাদী নয়, মনে করে বামফ্রন্ট!

সোমবার বীরভূমের আমোদপুরে জনসভা করেন অনুব্রত মণ্ডল৷ ওই জনসভায় দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, এই বারেক ভোটটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ ৩৪ বছর বাম জমানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর অনেক অত্যাচার হয়েছে৷ অতীত দিনের স্মৃতি উসকে বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা বলেন, ‘‘এক সময় চুলের মুঠি ধরে রাইটার্স বিল্ডিং থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার করে দেওয়া হয়েছিল৷ সেটা ছিল ভয়ঙ্কর একটা দিন৷ এর বার নয়, অসংখ্যবার তার উপর হামলা হয়েছে৷ বাংলাকে বাম জমানার অপ শাসন থেকে মুক্ত করতে অনেক লাঞ্ছনা, গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছে৷ তিনি একটানা ২৬ দন অনশন করেছিলেন৷’’ 

এরপরেই অনুব্রত বলেন, ‘‘আজ আমার নিজের জন্য কোনও কথা বলার নেই৷ আপনাদের কাছে জোড় হাত করে বলছি, বিজেপি’কে ভোট দেবেন না৷ এই ভোট তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট৷ করজোড়ে বলছে, আমি কিছু ভুল করে থাকলে, তার সাজা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবেন না৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অন্যায় করেননি৷’’

প্রসঙ্গত, এর আগে গত শনিবার ‘কোয়াক ডাক্তার’দের নিয়ে কর্মী সম্মেলন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল৷ ওই সম্মেলনেও হাজ জোড় করে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি৷ সেখানেও বলেছিলেন, ‘‘আমি কোনও ভুল করে থাকলে করজোড়ে ক্ষমা চাইছি৷ আপনারাই আমাদের ভগবান৷ আপনারাই আল্লা৷ আপনারা সবাই মিলে এই ভোটে তৃণমূলের পাশে থাকুন৷’’ 

আরও পড়ুন- অর্ধেক নারী, অর্ধেক পুরুষ! এমনই বিরল পাখি উড়ছে আকাশে

তৃণমূলের দাপুটে নেতা হিসাবেই পরিচিত বীরভূমের জেলা সভাপতি৷ কিন্তু ভোটের আগে আচকমাই সুর বদল৷ ‘খেলা’ শুরুর হুঙ্কার দিয়েও জনসভায় হাতজোড় হল তাঁর৷  তবে কি এই দশ বছরে নিজের অন্যায়ের কথা স্বীকার করে নিলেন তিনি?   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *