কলকাতা: সংক্রমণের দাপটে নাজেহাল গোটা দেশ৷ এই অবস্থায় কোভিড আত্রান্ত রোগীর ভর্তিতে বিলম্ব এড়াতে নয়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সংশোধিত নির্দেশিকায় বলে হয়েছে, কোভিড সন্দেহে ভর্তি হওয়ার আগে কোভিড রিপোর্ট আবশ্যিক নয়৷ সন্দেহজনক রোগীদের জন্য ওয়ার্ডের সংখ্যাও বাড়াতে হবে৷ কোনও ভাবেই কোনও রোগীকে ফেরানো যাবে না৷ অন্য শহরের বাসিন্দা হলেও, রোগী ভর্তি নিতে হবে৷ রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্ধারিত হবে ভর্তির সময়৷ রিপোর্ট আসা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে৷
আরও পড়ুন- ‘দিদি বললে হাসতে হাসতে বেহাল পূর্ব ছেড়ে দেব, শোভন-বৈশাখীকে নয়’, সাফ জবাব রত্নার
এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা খুবই স্বাভাবিক একটি সিদ্ধান্ত৷ অনেক গুরুতর রোগী আসছেন৷ যাঁদের পরবর্তী সময় দেখা যাচ্ছে ফুসফুস অনেকখানি আক্রান্ত হয়ে গিয়েছে৷ তাঁদের হয়তো দুই-তিনদিন জ্বর রয়েছে৷ অথচ তাঁদের এই অবস্থায় রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে৷ শুধুমাত্র রিপোর্ট নেই এই অছিলায় রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না৷ সময় মতো ভর্তি না হওয়ায় অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে রোগী মারা যাচ্ছেন৷ এই পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত জরুরি ছিল৷ তাঁর কথায়, কিন্তু এটাই দুর্ভাগ্যজনক যে, এত সহজ একটা সিদ্ধান্তে আসতে এতদিন সময় লাগল৷ দেরীতে হলেও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত৷
আরও পড়ুন- ‘বিজেপি’র সৈনিক হয়েই রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব’, জল্পনায় জল মুকুলের
অন্যদিকে, চিকিৎসক প্রভাস প্রসূন গিরি বলেন, এই নির্দেশ আসাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল৷ কোভিড প্যান্ডেমিক আমাদের দেশে থাবা বসিয়েছে ১৪ মাস হয়ে গেল৷ প্রথম থেকেই আমরা বলে আসছি, আপৎকালীন হিসাবে হাসপাতালে তিনটি ভাগ করতে হবে৷ একটা হবে সন্দেহভাজন অঞ্চল৷ যেখানে যে কোনও সন্দেহভাজন রোগীকে আইসোলেশনে রাখা হবে৷ আরেকটি হল পজেটিভ এরিয়া৷ যেখানে কোভিড পজেটিভ রোগীকে হলে পাঠানো হবে৷ এবং আরেকটি হল নেগেটিভ এরিয়া৷ যেখানে কোভিড নেগেটিভ রোগীকে রাখা হবে৷ তাঁর মতো, ছোট হোক বা বড় প্রতিটি হাসপাতালে এই তিনটি ভাগ অবশ্যই থাকা উচিত৷ কোনও রোগী যাতে ফেরত না যায়, তার জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড রাখতেই হবে৷ যাতে কোভিড রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁদের ওখানে রাখা যায়৷ তিনি মনে করছেন, কেন্দ্রের এই নির্দেশের পর এই পক্রিয়া আরও সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হবে৷