কলকাতা: ভোটের ফল ঘোষণার পরেই শোভন-বৈশাখীর মুখে শোনা গিয়েছিল মমতা বন্দনা৷ কার্যত বিজেপি’র বিপর্যয়ের জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে দুষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন তাঁরা৷ যা নতুন করে তাঁদের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা উস্কে দেয়৷ তবে এক সময় এই শোভন-বৈশাখীই বলেছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায় থাকলে, তৃণমূলে ফিরবেন না তাঁরা৷ কিন্তু আজ শোভন-জায়া তৃণমূলের বিধায়ক৷ তাই তাঁকে আর দল থেকে তাড়ানো যাবে না৷ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললে হাসতে হাসতে নিজের বেহালা পূর্ব ছেড়ে দিতে পারেন তিনি৷ বললেন রত্না চট্টোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- ‘বিজেপি’র সৈনিক হয়েই রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব’, জল্পনায় জল মুকুলের
এদিন শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রত্না বলে, ‘‘ওঁনারা দু’জনে ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের মতো তাঁরাও নাকি দিদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ তৃণমূলে ফেরার কোনও ব্যাপার নেই৷ তবে ওঁনারা তৃণমূলে ফিরবে কি ফিরবে না, দিদি তাঁদের নেবেন কি নেবেন না, এটা সম্পূর্ণটাই দলের ব্যাপার৷ এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই৷ আমি কোনও দিনও বলিনি যে ওঁনারা থাকলে আমি রাজনীতি করব না বা তৃণমূল করব না৷ কিন্তু ওঁনারা বলেছেন, আমি থাকলে এক মঞ্চে ওঁনারা রাজনীতি করবেন না৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি এখন তৃণমূলের বিধায়ক৷ ওঁনারা যদি মনে করেন, আমার সঙ্গে একমঞ্চে রাজনীতি করবেন, তাহলে আসবেন৷ তবে আমাকে তৃণমূল থেকে তাড়ানোর আর কোনও জায়গা রইল না৷ ’’
আরও পডুন- সাংসদ তহবিলের টাকায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির আর্জি জানিয়ে মোদীকে চিঠি অধীরের
শোভন চট্টোপাধ্যায় যদি বেহাল পূর্ব কেন্দ্রের আসন ছেড়ে দিতে বলেন, তাহলে কী করবেন রত্না? এই প্রশ্নের জবাবে তাঁর সাফ উত্তর, কী কারণে ছাড়ব? আসন ছাড়ার কোনও কারণই নেই৷ মমতাদি যদি ছেড়ে দিতে বলেন, বা যদি বলা হয় এখান থেকে দিদি পুরনায় ভোটে দাঁড়াবেন, তাহলে হাসতে হাসতে ছেড়ে দেব৷ শোভন বা বৈশাখীর জন্য কোনও প্রশ্নই নেই৷