কলকাতা: রাজনীতির আঙিনায় অন্যতম চর্চার কেন্দ্রে এখন বেজেপি বিধায়ক মুকুল রায়৷ তাঁর অদ্ভূত নীরবতা নতুন করে জল্পনা উস্কে দিয়েছে৷ গতকাল বিধানসভাতেও কার্যত মৌনই ছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক৷ তবে শপথ নিয়ে বেরনোর সময় শুধু বলেন, ‘‘আমি এখন কিছু বলব না৷ যখন বলার তখন সকলকে ডেকে বলব৷’’ তাঁর এই কথা স্বভাবতই নতুন করে জল্পনা উস্কে দিয়েছে৷ অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন, তবে কি ফের পুরনো ঘরেই ফিরছেন মুকুল? কিন্তু আজ ‘মৌন’ মুকুলের গলায় শোনা গেল অন্য সুর৷
আরও পড়ুন- সাংসদ তহবিলের টাকায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির আর্জি জানিয়ে মোদীকে চিঠি অধীরের
এদিন মুকুল রায় বলেন, ‘‘রাজ্যে গণতন্ত্র উদ্ধারে বিজেপি’র সৈনিক হিসাবে আমার লড়াই জারি থাকবে৷ সকলের কাছে আমার আবেদন, তাঁরা যেন তাঁদের অনুমানগুলিকে দূরে সরিয়ে রাখেন৷ কারণ আমি আমার রাজনৈতিক পথে দৃঢ় সংকল্প৷’’ প্রসঙ্গত, গতকাল মুকুল রায়কে দেখা যায়, তৃণমূল পরিষদীয় দলের ঘরে ধুকতে৷ সেখানে এক সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে চলে যান শপথগ্রহণ কক্ষে। সেখানে প্রোটেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করানোর পর তাঁকে দেখা যায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গে বাক্যালাপ করতে৷
আরও পড়ুন- ৩০ হাজার কোটি কেন্দ্রের কাছে তুচ্ছ, সারা দেশে সামগ্রিক টিকাকরণ হোক, দাবি মমতার
গতকাল বিধানসভায় ঢোকার পরে বিধায়কদের ভিড়ের মাঝে একমাত্র তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গেই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুকুল৷ এই ছবিগুলি কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে? এদিকে, ভোটের আগে থেকেই তিনি নীরব৷ যা অত্যন্ত তাৎর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে৷ শুধু তাই নয় ভোটের মধ্যেও তিনি নীরবই থেকেছেন৷ ফল ঘোষণার পর বিজেপি’র বিপর্যয় নিয়ে বাকি নেতারা যখন নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন, তখনও কার্যত কুলুপ এঁটেই থেকেছেন মুকুল রায়৷ এদিনও তাঁর ‘পরে বলব’ এই বক্তব্যে অন্য ইঙ্গিত দেখছেন রাজনীতির কারবারিরা৷ আবার ভোটের প্রচার চলার সময় মুকুল রায়ের প্রতি সুর নরমই রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেছিলেন, শুভেন্দুর চেয়েমুকুল অনেক ভালো৷ সেই প্রেক্ষাপটে মুকুল রায়ের এই অবস্থান নিশ্চিত ভাবেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল৷ তবে এদিন বিজেপি’তে থাকারই বার্তা দিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক৷