কলকাতা: একুশে জুলাই রাতে বিরাটিতে শ্যুটআউট। ২টি বাইক নিয়ে ৩-৪ জন দুষ্কৃতী হামলা চালায় তৃণমূল নেতা শুভ্রজিৎ দত্তের উপর৷ গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তাঁকে৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সুপারি কিলার দিয়েই কি শুভ্রজিৎকে খুন করানো হয়েছিল? এই তত্ত্ব সামনে রেখেই তদন্ত শুরু করেছেন অফিসাররা।
আরও পড়ুন- মমতার সফরের আগেই দিল্লিতে অভিষেক! জরুরি বৈঠকে তৈরি হবে ’২৪-এর রোডম্যাপ
গতকাল রাতে শুভ্রজিত দত্ত ওরফে পিকুন (৩৮)-কে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বিরাটির বণিক মোড়ের কাছে পিছন থেকে শুভ্রজিতের উপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা৷ তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা৷ শুভ্রজিতের মাথা ও শরীরে ৫টি গুলি লাগে৷ শুভ্রজিৎকে তড়িঘড়ি দমদম পুরসভার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা্ করেন চিকিৎসকরা৷ অন্যদিকে গুলি করেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা৷ পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা ঘটনাস্থ পরিদর্শে এসেছিলেন৷ খতিয়ে দেখা্ হয় সিসিটিভি ফুটেজ৷ যদিও দুটি সিসিটিভিতে হামলার কোনও দৃশ্য দেখা যায়নি৷
আরও পড়ুন- গুজরাটে মোদীর গড়েও ভাঙন ধরাব, ২১ জুলাইয়ে দাবি অরূপ রায়ের
গতকাল দুপুরে বাণিক মোড়ে বাবুলাল নামে এক দুষ্কৃতীকে বেধড়র মারধর করা হয়৷ অভিযোগ তৃণমূলের মহারাজ গোষ্ঠীর লোকেরাই বাবুলালকে মারধর করে৷ আহত বাবুলাল বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি৷ এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই মহারাজ গোষ্ঠীর অনুগামী তৃণমূল নেতা শুভ্রজিৎ দত্তকে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয়৷ বাবুলালের উপর হামলার বদলা নিতেই কি এই খুন? সেই প্রশ্নও উঠে এসেছে৷ সেই সঙ্গে যে ভাবে মুহূর্তের মধ্যে খুন করে দুষ্কৃতীরা পালায়, তা দেখে মনে করা হচ্ছে সুপারি কিলার দিয়েই এই কাজ করানো হয়েছিল৷ বিভিন্ন সূত্রকে সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে৷ খনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি৷ পরিবারে অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে বাবুলাল৷ অন্যদিকে এই ঘটনায় বিজেপি’র দিকে আঙুল তুলছে তৃণমূল৷