জলপাইগুড়ি: ‘টাকা খরচ করে জেতালেও কথাই শোনেন না দলের বিধায়করা’৷ কারও অভিযোগ নয়, শনিবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ির সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি মোশারফ হোসেন৷ যার জেরে জনমানসে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেও৷
আরও পড়ুন- ত্রিপুরেশ্বরীর আশীর্বাদ নিয়ে সোমবার ‘মিশন ত্রিপুরা’য় অভিষেক
এক অংশ মোশারফ হোসেনের দাবিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়ার কথা বললেও অন্য অংশের পাল্টা মত, উনি নিজের ক্ষোভের কথা দলের অন্দরে জানাতে পারতেন৷ তা না করে যেভাবে প্রকাশ্যে ঢাক পেটানোর মতো করে বললেন, তাতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হল৷ ফলে এটাকে দলবিরোধী কার্যকলাপ বলা যাবে না কেন? পাল্টা মত হিসেবে উঠে এসেছে, নেত্রী বরাবরই মানুষের সঙ্গে মিশে থাকার, মানুষের হয়ে কাজ করার কথা বলেন৷ মোশারফ ভুল কিছু বলেন নি৷ বরং দলের যে সমস্ত বিধায়ক ভুল পথে হাঁটছেন, তাঁদের হুঁশ ফেরাতে এমনটাই দরকার ছিল বলে মত ওই মহলের৷
ঘটনার সূত্রপাত, শনিবর সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের একটি কর্মসূচি ছিল৷ সেখানেই মোশারফ ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘‘ভোট শেষ হওয়ার পরে আর বিধায়কদের এলাকায় দেখা যায় না৷ অথচ ভোটের সময় নিজের গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে লড়াই করে জিতালাম৷ অথচ এখন কোনও প্রয়োজনেই কেউ তাঁদের পাশে পাচ্ছেন না৷’’ এমনকি বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন কমিটিতে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ জায়গা পেলেও সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি৷
আরও পড়ুন- ‘অন্য দলে যাব না’ লিখেও মুছে দিলেন বাবুল, তুঙ্গে দল বদলের জল্পনা
স্বভাবতই, সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতির এহেন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে তোলপাড়৷ প্রসঙ্গত. এদিনই বিজেপি থেকে কয়েকজন তৃণমূলে যোগ দেন৷ আর সেই অনুষ্ঠানেই মোশারফের এহেন মন্তব্যকে ঘিরে কার্যত চরম অস্বস্তিতে পড়ে যান জেলার অন্য নেতারা৷ যদিও বিষয়টিকে তাঁরা মোশারফের ‘ব্যক্তিগত মতামত’ বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তবু শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ দলের একটি অংশের মতে, প্রকাশ্যে এহেন দলবিরোধী মন্তব্যের জেরে শাস্তির কোপেও পড়তে পারেন মোশারফ৷