কলকাতা: ত্রিপুরায় প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীদের আটকে রেখে হেনস্থার ঘটনায় জল বহু দূর গড়িয়েছে৷ ঘটনাপ্রবাহে শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূলের চাপানউতোর৷ ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা ঘিরে এসেছে তৃণমূলের তিন সদস্যের টিম৷ এরই মধ্যে সোমবার উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একুশের বিধানসভায় বিপুল ভোটে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের পাখির চোখ এখন ত্রিপুরা৷ ২০২৩ সালে সে রাজ্যে নির্বাচন৷ ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে হঠানোই এখন তৃণমূলের অন্যতম লক্ষ্য৷
আরও পড়ুন- ‘অন্য দলে যাব না’ লিখেও মুছে দিলেন বাবুল, তুঙ্গে দল বদলের জল্পনা
শনিবার ও রবিবার ত্রিপুরায় করোনার কঠোর বিধি নিষেধ জারি রয়েছে৷ সে কারণেই সফর পিছিয়ে দেন অভিষেক৷ সোমবার ত্রিপুরায় পা রেখেই সবার আগে অভিষেক যাবেন সেখানকার বিখ্যাত মাথাবাড়ি মন্দিরে৷ সে রাজ্যের ইতিহাসে কথিত রয়েছে, ত্রিপুরায় যে কোনও ভালো কাজ শুরু হয় ত্রিপুরেশ্বরীর আশীর্বাদ নিয়েই৷ তাই ত্রিপুরা দখলের লক্ষ্যে মাথাবাড়ি থেকেই যাত্রা শুরু করতে চাইছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ সেখানে পৌঁছে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি৷ নেবেন একেবারে বুথ ভিত্তিক রিপোর্ট৷ এর ভিত্তিতেই তৈরি করবেন আগামী দিনে ত্রিপুরা দখলের রূপরেখা৷ ত্রিপুরায় সংগঠনের খোলনোলচে বদলে তুলে আনতে পারেন নতুন মুখও৷ বিকেলে একটি পাঁচতারা হোটেলে অভিষেক সাংবাদিক বৈঠক করবেন বলেও দলীয় সূত্রে খবর৷
আরও পড়ুন- ‘আগে সাংসদ পদ ছাড়ুন, নাহলে নাটক বলব’ বাবুলের পোস্টে তীব্র কটাক্ষ কুণালের
জানা গিয়েছে, আইপ্যাকের কর্মীরা ত্রিপুরায় হোটলবন্দি হওয়ার পর আরও বেশি সতর্ক তৃণমূল৷ কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ তাঁরা৷ দলের প্রত্যেক সদস্যকে কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ তবে তৃণমূলের ত্রিপুরা দখলের এই লড়াইকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বাংলার বাইরে তৃণমূলের কোনও ক্ষমতাই নেই৷ তবে ‘খেলা’ যে শুরু হয়ে গিয়েছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই৷ ত্রিপুরায় বেশ কোমর বেঁধেই নামছে তৃণমূল৷ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর অভিষেকও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, যে রাজ্যেই যাবেন সেখানে শুধু কয়েকটা আসন দখল করতে যাবেন না৷ যাবেন সরকার গড়তে বা সরকার গড়ায় বড় ভূমিকা পালন করতে৷