পুরুলিয়া: বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার রাজ্য সফরে এসে এদিন পুরুলিয়ায় জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি আজ চরম আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তুলোধনা করলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। বললেন, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে নতুন ধরনের মাওবাদী তৈরি করেছে! আর তৃণমূল কংগ্রেস দলের অর্থ হচ্ছে, ‘ট্রান্সফার মাই কমিশন’!
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছর ধরে জন সাধারণের টাকা লুট করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা নতুন ধরনের মাওবাদী তৈরি করেছে যারা শুধুমাত্র জনগণের টাকা লুট করে। একই সঙ্গে এই সরকার থাকাকালীন রাজ্যের কত অবনতি হয়েছে তার ব্যাখ্যা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পাশাপাশি তিনি আজ আরও বললেন, তৃণমূল কংগ্রেস এখন ‘খেলা হবে’ বলছে, কিন্তু বিজেপি বলছে চাকরি হবে, শিক্ষা হবে, বিকাশ হবে। এর পাশাপাশি রাজ্যে ক্ষমতায় থাকাকালীন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার যেভাবে দুর্নীতি এবং তোলাবাজি করেছে তার বিরুদ্ধেও এদিন সুর চড়ান তিনি। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন নামকরণ প্রসঙ্গে মোদী বলে, বিজেপি শুধুমাত্র ‘ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারে’ বিশ্বাস করে, আর তৃণমূল বিশ্বাস করে ‘ট্রান্সফার মাই কমিশনে’!
আরও পড়ুন- পুরুলিয়ায় ‘জলসঙ্কট ভরা জীবন’ দিয়েছে তৃণমূল, ১০ বছরে একটা সেতুও হয়নি, তোপ নমোর
তিনি আরো বলেন, বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন করলে সবার আগে যুব সমাজের রোজগারের উপর জোড় দেওয়া হবে৷ এখানে নিয়োগ পরীক্ষায় তৃণমূল সরকার যে খেলা খেলেছে, সেই সব খেলা বন্ধ করা হবে৷ যে সকল যুবক-যুবতী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়ার পর বছরের পর বছর ধরে নিয়োগের অপেক্ষা করছে, তাদের সমস্যাও দূর করা হবে৷ এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের এই উদ্দীপনা প্রত্যেক সিন্ডিকেট, প্রত্যেক তোলাবাজদের হুঁশ উড়িয়ে দিচ্ছে৷ সারা বাংলার, জঙ্গলমহলের, পুরুলিয়ার মানুষের সাফ বার্তা, চুরির খেলা চলবে না৷ তৃণমূলের যাওয়ার কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে৷
আরও পড়ুন- ফের উত্তপ্ত ভাটপাড়া, অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে বোমাবাজি, আহত ৩
তোপ দেগে নমো আরও বলেন, বাংলার মানুষের মঙ্গলের চেয়ে দিদির খেলার চিন্তা বেশি৷ কিন্তু দিদি এটা ভুলে গিয়েছেন, বাংলার মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ ১০ বছরের দুর্নীতির সাজা বাংলার মানুষ তাঁকে দেবে৷ কলকাতার ব্রিগেড জনসমাবেশের পর যা ঘটছে তা আপনারা দেখতে পাচ্ছে৷ সারা দেশে মানুষ দেখছে৷ ১০ বছর ধরে তুষ্টিকরণের পর এখন মমতা দিদি হঠাৎ করে বদলে গিয়েছেন৷ এটা পরিবর্তন নয়, এটা পরাজয়ের ভয়৷