কলকাতা: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! সঠিক তথ্য না দেওয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন শিক্ষক। কিন্তু মামলা হতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়লো বেড়াল। মামলাকারি শুধু নয় এই রকম অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বিরুদ্ধে। তাই বিষয়টি কারও একার নয়, এটা জনস্বার্থের বিষয়৷ এমনই মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া হলো ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।
আরও পড়ুন- মাথার ঘায়ে কুকুরের পাগল হওয়ার অবস্থা! উপনির্বাচন নিয়ে কটাক্ক দিলীপের
প্রয়োজনীয় নথি না থাকা সত্ত্বেও এক ব্যক্তিকে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। পরে ত্রুটি ধরতে পারে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ওই শিক্ষককে টেটের প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে বললেও তিনি তা দিতে পারেননি। ফলে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। হাইকোর্টে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কেন প্রথমে নথি না দেখে চাকরি দেওয়া হল? প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এই ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। যদিও নথি না পেয়ে পরে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়।
আরও পড়ুন- সস্ত্রীক অভিষেককে দিল্লিতে তলব ইডির! পাঠানো হয়েছে নোটিশ
এর পরেই ওই অভিযুক্ত শিক্ষক ১২ জনের নামের তালিকা আদালতের কাছে দেন। তাঁর অভিযোগ, এঁরা কারও কাছেই প্রয়োজনীয় নথি নেই৷ তা সত্ত্বেও তারা এখন চাকরি করছেন স্কুল শিক্ষক হিসেবে। বিস্ময়কর এমন অভিযোগ পাওয়ার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গোটা বিষয়টিকে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দেখার নির্দেশ দিয়ে যাবতীয় নথিপত্র ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দেন রেজিস্ট্রারকে।