মাথার ঘায়ে কুকুরের পাগল হওয়ার অবস্থা! উপনির্বাচন নিয়ে কটাক্ক দিলীপের

মাথার ঘায়ে কুকুরের পাগল হওয়ার অবস্থা! উপনির্বাচন নিয়ে কটাক্ক দিলীপের

কলকাতা: উপনির্বাচন নিয়ে এখন জোর টক্কর লেগেছে বিজেপি এবং তৃণমূলের। বিজেপি কিছুতেই এই সময় রাজ্যে উপনির্বাচন চাইছে না, এদিকে তৃণমূলের দাবি যে কেন্দ্রে নির্বাচন হবে সেখানে কোভিড শূন্য। এই নিয়ে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন ঘাসফুল শিবির। গত বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মহুয়া মৈত্রদের প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে যান। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ক করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেছিলেন, মমতা পাগল হয়ে যাচ্ছেন। এখন তৃণমূলকে একহাত নিয়ে বললেন, মাথার ঘায়ে কুকুরের পাগল হওয়ার অবস্থা।

আরও পড়ুন- BREAKING: পুলিশ নিয়োগে কারচুপি, হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার

দিলীপের কথায়, ক্ষমতা চাই, চেয়ার চাই। সমাজে মানুষ বাঁচুক, মরুক, মহামারী হোক কিছুই যায় আসে না। তৃণমূল কংগ্রেস শুধু ক্ষমতায় থাকতে চায় ব্যস। তাই জন্য এই সময়েও নির্বাচন নিয়ে মাতামাতি করছে। তৃণমূলের জন্যই পশ্চিমবঙ্গের সর্বনাশ হচ্ছে বলেও দাবি করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এর আগে তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাগল হয়ে যাচ্ছেন এবং তাই জন্য রাজ্যের সকল মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই উপনির্বাচন করাতে চাইছেন। দিলীপের সাফ কথা, রাজ্যের ভাইরাস পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তার পরেও রাজ্যে ভোট করাতে চাইছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূল দাবি করেছে যে, বাংলায় হারের পর বিজেপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তাই যা ইচ্ছা বলছে। 

আরও পড়ুন- বাংলায় নির্বাচনের রণকৌশলই ভুল ছিল! মানতে ‘বাধ্য’ হল বিজেপি

কিছুদিন আগেই উপনির্বাচন আটকাতে মূলত আট কারণ সামনে এনেছিল গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপি ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় গেরুয়া নেতৃত্বকে। এই কারণের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় তোলা হয়েছে তা হল, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি চলছে এবং লোকাল ট্রেন বন্ধ। ওদিকে, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা রয়েছে, আবার সেই মাসেই পুজো। তাই কোনও ভাবেই এই সময়ে উপনির্বাচন করা সম্ভব নয়। এছাড়াও বিজেপি জানিয়েছে, রাজ্যে কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ এখনো লাগু করে রাখা রয়েছে। পুরসভা নির্বাচন হয়নি এখনও পর্যন্ত। তার কারণ হিসেবে রাজ্য সরকার করোনা পরিস্থিতির কথাই বলেছে। তাহলে উপনির্বাচন কী ভাবে সংঘটিত করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *