‘মান্থলি কেটে নিন, সুবিধা হবে’, মমতার দিল্লি সফর নিয়ে তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

‘মান্থলি কেটে নিন, সুবিধা হবে’, মমতার দিল্লি সফর নিয়ে তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

27ddeec92918fba711f4f4d87e2a7d79

কলকাতা:  মিশন ’২৪-কে সামনে বিরোধী দলগুলিকে ঐকবদ্ধ করতে দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজধানীতে একের পর এক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিরোধী দলের নেতা-নেত্রী তো বটেই, দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গেও৷ কলকাতায় ফেরার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে জানিয়ে গিয়েছেন, এবার থেকে দু’মাস অন্তর দিল্লি যাবেন তিনি৷ যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ৷ শনিবার মমতাকে একহাত নিয়ে বলেন, কলকাতায় বসে কিছুই করা যাবে না৷ ওঁর যাওয়া উচিত৷   

আরও পড়ুন- ভাসুরের কুপ্রস্তাবে অসম্মতি, বিধবা মহিলার চুল কেটে মারধর, গ্রেফতার ২

তোপ গেদে বঙ্গ বিজোপি সভাপতি বলেন, দলের কোষাগার বা তহবিল তৈরি করতেই বারবার দিল্লি সফরের কথা বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ এর জন্য অন্যান্য বিরোধী নেতাদের হাতেপায়ে ধরতে পারেন বলেও তোপ দেগেছেন তিনি৷ তাঁর পরামর্শ, প্রয়োজন হলে ট্রেনের মান্থলি টিকিট কেটে নিন৷ এদিন কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘অবশ্যই যাওয়া উচিত৷ মান্থলি করে নিন না৷ তাতে আরও সুবিধে হবে৷ কলকাতায় আর কিছু হচ্ছে না৷ দিল্লিতে গিয়ে মন্ত্রীদের হাতেপায়ে ধরতে হবে ফান্ডের জন্য৷ আর তাঁর দলকে সর্বভারতীয় পার্টি করবেন বলে এক একজন নেতার কাছ থেকে একটা সাংসদ-বিধায়ক আসন চাইছেন৷ তাঁরা তো তাঁদের রাজ্যই সামলাতে পারছে না৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কী সাহায্য করবেন৷ বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, ‘‘সবাই জেনে গিয়েছেন ওঁর সঙ্গে গেলেই সর্বনাশ হবে৷ পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের অস্তিত্ব রক্ষার বিষয় আছে৷ তাই চাইছেন সমঝোতা করে আগামী নির্বাচনে দুটি আসন বাঁচিয়ে রাখবেন৷’’ 

আরও পড়ুন- অতিবৃষ্টির কারণে একাধিক জেলা ক্ষতিগ্রস্ত, জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক মুখ্যসচিবের

উপনির্বাচন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানান তিনি৷ দিলীপ ঘোষ বলেন, উপনির্বাচন করা দরকার৷ সেটা সময়েই হবে৷ দুই বছর ধরে পুরসভার ভোট আটকে রয়েছে৷ আর মুখ্যমন্ত্রী নিজের পদে থাকার জন্য ভোট করাতে চাইছেন৷ তিনি আরও বলেন, বিজেপি’র ভয়ে লকডাউন তুলতে পারছে না৷ বিজেপি যাতে মিটিং মিছিল করতে না পারে সেই জন্যই আংশিক লকডাউন করে রাখা হয়েছে৷     
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *