ক্যানিং: এ যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতা! অবৈধ সম্পর্কে অসম্মত বিধবা মহিলার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে৷ এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং থানার ডাবু গ্রামে।
আরও পড়ুন- এবারেও কাটছাঁট স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে, তবে রাজ্য বাড়াল সময়
স্থানীয় সূত্রে খবর, ডাবু গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে তিন বছর আগে৷ স্বামী মারা যাওয়ার পর ওই বিধবা মহিলা তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে কোনও মতে সংসার চলান৷ সংসারে তার নুন আনতে পান্তা ফুরায়। অভিযোগ, ওই মহিলার স্বামী মারা যাওয়ার পরেই তাঁর ভাসুর তাঁকে কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু ওই বিধবা মহিলা সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। কুপ্রস্তাবে সম্মতি না দেওয়ায় ওই মহিলাকে নানা ভাবে হেনস্থা করতে শুরু করেন তিনি৷ প্রায় সময় তাঁকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হত৷ এমনকী গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়ার ভয়ও দেখানো হত৷ শুক্রবার জোড় করে তাঁর চুল কেটে দেওয়ার পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি৷
ওই মহিলা জানান, তাঁর কাছে কোনও ফোন নেই৷ তাই তাঁর মা বৃহস্পতিবার তাঁর দেওর ক্ষুদিরাম সর্দারের ফোনে কল করেন৷ প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে ভাঙ্গা বাড়িতে তাঁরা কেমন আছে সেটা জানার জন্যই ফোন করেছিলেন তাঁর মা৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘মায়ের ফোন আসার পরেই আমার দেওর ক্ষুদিরাম ফোন নিয়ে আমার ঘরে আসেন। আর তখনই স্থানীয় ১০-১২ জন বাসিন্দা আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়৷ তাঁরা আচমকাই আমাদের মারধর করতে শুরু করে৷ অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে৷ এবং ক্ষুদিরামের সঙ্গে আমার অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে রটিয়ে দেয়। বেধরক মারধর করা হয়েছে ক্ষুদিরামকেও। এরপরই ব্লেড দিয়ে আমার চুল কেটে দেওয়া হয়।’’ এই ঘটনার পরেই ক্যানিং থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা৷
আরও পড়ুন- বাংলাতেও চালু ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’, কারা পাবেন সুবিধা?
এদিকে, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানান, ওই বিধবা মহিলাকে মারধর করে তাঁর চুল কেটে দেওয়া হয়েছে৷ এই বিষয়ে থানায় ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।