অতিবৃষ্টির কারণে একাধিক জেলা ক্ষতিগ্রস্ত, জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক মুখ্যসচিবের

অতিবৃষ্টির কারণে একাধিক জেলা ক্ষতিগ্রস্ত, জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক মুখ্যসচিবের

কলকাতা: গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যে অতিবৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য ন’টি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে আপৎকালীন বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। শনিবার বেলা সাড়ে বারোটায় নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনি। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং ও কালিম্পং, এই ন’টি জেলার জেলাশাসক এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। টানা বৃষ্টির কারণে রাজ্যের একাধিক জেলা সহ শহর কলকাতা জলমগ্ন। কোথাও কোথাও বাস ডুবে গিয়েছে, আবার কোথাও কোমর জল। অনেকের বাড়ি ভেঙ্গে ভেসে গিয়েছে জলে। সবমিলিয়ে দুর্দশার চিত্র রাজ্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতেই বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। 

ইতিমধ্যেই এই জল জমা নিয়ে রাজনীতিকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলায়। বিজেপি নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সিপিএম সমর্থক, সবাই একে একে আক্রমণ করছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকারকে। জল যন্ত্রণা প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, কলকাতাকে আদর্শ নগরী বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু শহর এবং দক্ষিণবঙ্গের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস দলকে ভরসা করে ভোট দিয়ে তাদের ক্ষমতায় এনেছে। কিন্তু এখন তারা বুঝতে পারছে যে কোথায় ভুল হয়েছে। এখন দক্ষিণবঙ্গের এবং কলকাতার মানুষ বুঝতে পারবেন যে তারা কাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। শুভেন্দুর কথায়, কলকাতাকে লন্ডন বানানোর কথা ছিল, আর এখন এখানে দুয়ারে নর্দমা প্রকল্প চালু হয়েছে! এর আগে ইয়াসের সময় বলা হচ্ছিল দুয়ারে গঙ্গা, আর এখন রাজ্যবাসীর দুয়ারে দুয়ারে নর্দমা পৌঁছে যাচ্ছে। 

আরও পড়ুন- শুনানি হল না, পিছিয়ে গেল রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা

এদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘দিদিমণি’ দিল্লি গিয়েছেন আর এদিকে কলকাতা লন্ডনের বদলে ভেনিস হয়ে গেছে। বাস থেকে জলে ঝাঁপ দিয়ে নামতে হচ্ছে, যাত্রীরা সাঁতার কাটছেন, এই দৃশ্য কলকাতায় দেখতে হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও একহাত নিতে ছাড়েননি তিনি। মন্তব্য করেছেন, সিবিআই গ্রেফতার করার সময় তিনি বলেছিলেন যে, কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে পারলেন না, বাঁচাতে দেওয়া হল না। কিন্তু এখন তো কেউ গ্রেফতার নয়, বাড়িতেই আছেন, তাহলে শহরবাসীর এই দুর্দশা কেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − two =