কলকাতা: বিধানসভায় শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে পশ্চিমবাংলায় ৩৪ বছর রাজত্ব করা বামেদের৷ ভোটের ফল নিয়ে চলেছে চুলচেরা বিশ্লেষণ৷ তবে কি শত্রু চিনতে ভুল করেছিলেন তাঁরা? বিমান বসুর মন্তব্য উস্কে দিয়েছিল নয়া জল্পনা৷ তিনি বলেন, বিজেপি হঠাতে তৃণমূলের সঙ্গে যদি হাত মেলাতে হয়, তাতেও আপত্তি নেই বামেদের৷ কিন্তু এর পরেই উল্টো সুর শোনা গেল সুজন চক্রবর্তীর গলায়৷ সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের কথায়, তৃণমূলের সঙ্গে বামেরা হাত মেলাতে যাবে কোন দুঃখে? এই প্রশ্ন সম্পূর্ণ অবান্তর!
আরও পড়ুন- ১৫ জেলায় মৃত্যু শূন্য! বাংলার করোনা গ্রাফে বড় স্বস্তি
বিমান বসুর মন্তব্য নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি যখন তোলপাড়, তখন ‘বিজেমূল’ তত্ব উস্কে সুজনের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলের সঙ্গে কোন দুঃখে এক হতে যাবে বামেরা? তৃণমূল কবে বিজেপি’র বিরুদ্ধে লড়াই করল? বরং ওঁরা বিজেপি’র সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার করেছে৷ এ রাজ্যে বিজেপি’কে নিয়ে এসেছে৷ ৩ থেকে ৭৭ করেছে৷’’
আরও পড়ুন- ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প নিয়ে বিশেষ ভাবনা রাজ্যের, কাজ শুরু
এদিকে, লোকসভা ভোটের আগে মোদী বিরোধী প্রধান মুখ হিসাবে উঠে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম৷ এ প্রসঙ্গে সুজনের বক্তব্য, ‘‘ লোকসভা ভোটের আর মাত্র ৩ বছর বাকি৷ তৃণমূল বিজেপি’র সঙ্গে থাকবে না বিরুদ্ধে যাবে, সেটা ওঁরাই ঠিক করবে৷ আমরা চাই ২০২৪-র বিজেপি’কে হঠাতে৷ এর জন্য জাতীয় স্তরে রাজনৈতিক দলগুলির দায়িত্ব অনেক বেশি৷’’ তার কথায় বামেরা ধারাবাহিক ভাবে বিজেপি বিরোধিতা করেছে৷ কিন্তু তৃণমূলের ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য নয়৷ তবে রবিবার বিমান বসুর কথায় মনে হয়েছিল, আগামী দিনে তাঁরা যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মেলান তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই৷