কলকাতা: রাজ্য সরকার আসন্ন দুর্গোৎসবে প্রতিটি পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বীবেদী জানান, কোভিডের কারণে অনেক পুজো কমিটি স্পনসর না পাওয়ায় গত বছরের মতো এই বারেও একই হারে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ইস্যু নিয়ে গতকালই বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল বিজেপি। বক্তব্য ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন। তার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তার জবাবও দিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- নির্বাচন ঘোষণা হতেই নোটিশ! অভিষেক তলবে ষড়যন্ত্র দেখছেন মমতা
বিজেপি এই ইস্যুতে প্রশ্ন তোলায় নির্বাচন কমিশন সরাসরি রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল এই ব্যাপারে। ভোটের আবহে কেন দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে এমন অনুদান দেওয়া হচ্ছে এই প্রশ্ন করা হয়। এই ভিত্তিতে কমিশন চিঠি দিয়েছিল রাজ্যকে যার উত্তর দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকা। নির্বাচন কমিশনের চিঠির জবাবে স্বরাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন, যে তিন কেন্দ্রে ভোট রয়েছে সেই কেন্দ্রের কোনও পুজো কমিটিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী বিধিভঙ্গের প্রশ্ন ওঠে না। অন্যদিকে তিনি আরও জানান, পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে যে বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল তাতে ওই তিন কেন্দ্রের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন- ‘দিল্লিতে কাকে চুমু খেতে হবে?’ ‘ভগবানের জ্যেষ্ঠ পুত্র’কে হুঁশিয়ারি মমতার!
গতকাল পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বীবেদী আরও জানান যে, পুজো করার জন্য দমকল ফিজের সবটাই এবং বিদ্যুৎ বিলে ৫০ শতাংশ মুকুব করা হবে। এই ইস্যু নিয়ে বিজেপি বিরোধিতা করায় তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়কে দুর্গা পুজোর ‘বিরোধিতা’ হিসেবেই দেখছে। রাজ্যের বিভিন্ন দুর্গা পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা হওয়ার পর বিজেপি নির্বাচন কমিশনে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানায়। এই ইস্যুতেই আজ তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হয়, হিন্দু সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের স্বঘোষিত ধারক-বাহকরা স্পষ্টত হিন্দুত্ব বোঝে না। হিন্দুদের উৎসবকে সম্মান করতেও ভুলে গিয়েছে ওরা। মা দুর্গাকে অপমান করছে তারা। এটা চরম লজ্জার ব্যাপার।