কলকাতা: বিধানসভা ভোটের আগে জমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা৷ শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে অর্জুন সিংয়ের হাটে হাড়ি ভাঙলেন সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা৷ বারাকপুরের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ভোটের আগে অর্জুন সিং তাঁর বিষয় সম্পত্তি নিয়ে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তা সম্পূর্ণ অসত্য৷ তিনি নিজের আয় ও আয়ের উৎস, তাঁর উপর কারা নির্ভরশীল, এ সম্পর্কে যে যে তথ্য দিয়েছিলেন তা অসম্পূর্ণ বলে সুর চড়ালেন শশী পাঁজা৷
আরও পড়ুন- আসন্ন বিধানসভায় ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা দাবি, নির্বাচন কমিশনে ডেপুটেশন
এদিন তিনি বলেন, রাজ্যে তৃণমূল সরকারের নির্বাচিত সাংসদদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে৷ বর্ষীয়ান সাংসদ ড. সৌগত রায় সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি নাকি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে চলে যাচ্ছেন৷ এগুলি খুবই দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক৷ বাংলার মাটিতে এভাবে অসত্য কথা বলে একজন বর্ষীয়ান মানুষকে অপমান করা হচ্ছে৷ এই অসত্য খণ্ডনের জন্য তাঁকে বিবৃতি পর্যন্ত দিতে হয়েছে৷ যাঁরা এই সব প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরাই আসলে মিথ্যে কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেন পাঁজা৷ এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি অর্জুন সিংয়ের নাম তুলে ধরেন৷ তৃণমূল নেত্রী বলেন, অসত্য এবং অসম্পূর্ণ কথা বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা জমা দিয়েছেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ৷ তিনি বেঙ্গালুরু ফোর্ট ফার্মস লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডার৷ ২ লক্ষ শেয়ার তাঁর রয়েছে৷ এবং দুবাইয়ের কেপিএস ফুড স্টাফ এলএলসির ডিরেক্টরশিপ এবং ওনারশিপ রয়েছে তাঁর নামে৷ অথচ সে কথা তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি৷ এছাড়াও শ্রাবন্তী সিনহা রায়ের নামে রয়েছে ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৩০০ শেয়ার৷ একথাও হলফনামায় উল্লেখ নেই৷ হলফনামায় স্ত্রীর নাম বা কটি সন্তান রয়েছে সে সম্পর্কেও কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি৷ অথচ শ্রাবন্তী সিনহা রায়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছে৷ সে কথা উল্লেখ না করে তিনি একজন মহিলার অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছেন৷
আরও পড়ুন- করোনা-আমফানে সাহায্য করেনি কেন্দ্র! তোপ শশী পাঁজার
তোপ দেগে শশী পাঁজা আরও বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তাঁদের কিছু মহিলা নেত্রী মহিলাদের সম্পর্কেই অসম্মানজনক কথা বলছেন৷ যার জন্য এফআইআরও হয়েছে৷ মহিলা নেত্রী হয়ে মহিলাদের অপমান করছেন৷ অথচ এই রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মহিলাদের ক্ষমতায়ন হয়েছে৷ শশী পাঁজা আরও বলেন, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীও হলফনামা দিয়েছিলেন৷ অথচ অর্জুন সিং সাংসদ ভুল তথ্য দিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন৷ তিনি তাঁর স্ত্রী শ্রাবন্তী সিনহা রায়ের কথা বেমালুম এড়িয়ে গিয়েছে৷ অথচ তাঁদের ম্যারেজ সার্টিফিকেটও রয়েছে৷ যার অর্থ নিজের স্ত্রীকে অপমান করেছেন তিনি৷ তাঁর স্বীকৃতি কোথায়? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের মন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, একজন ব্যক্তিকে তাঁর যোগ্য সম্মান দেওয়া উচিত৷ তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে৷ যাঁকেও স্বীকৃতি দেননি বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ৷