কলকাতা: রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের সমস্ত ভোট কর্মীদের সুনিশ্চিত নিরাপত্তা সহ একাধিক দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে ডেপুটেশন জমা দেবে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। ১ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার বেলা ১টায় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে জমা দেওয়া হবে এই ডেপুটেশন। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আপাতত বুথ পুনর্গঠনের প্রস্তুতি চলছে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসন গুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। বুথ পুনর্গঠন, ইভিএম-ভিভিপ্যাট পরীক্ষা থেকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ইভিএমের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করা হবে। এর পাশাপাশি নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির কাজ আপাতত রাজ্য জুড়ে চলছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই কাজ সম্পন্ন হবে বলে অনুমান। তারপর নতুন বছরের শুরুর দিকেই প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানা গিয়েছে, যেসব বুথে এক হাজারের বেশি ভোটার রয়েছেন সেই সব বুথ ভেঙে দেওয়া হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, যার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কোন কোন এলাকায় এই ধরনের বুথ রয়েছে তার চিহ্নিতকরণ এবং অতিরিক্ত বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জেলাশাসক নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়ে দিয়েছেন বলে খবর।
আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলার রাজনৈতিক মহলের উত্তেজনার পারদ ইতিমধ্যেই তুঙ্গে। স্বচ্ছ ভোটের দাবিতে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি। একইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের তৃণমূল সরকার স্বচ্ছ নির্বাচনের বিরোধী। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে বাংলায়। অন্যদিকে দলীয় জোটের একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটে যাওয়ায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং বিজেপি শিবিরকে নিয়ে জল্পনাও বাড়ছে দিন দিন। এদিকে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়ায় বাংলায় ইতিমধ্যেই যেন নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়ে গিয়েছে।