অভিষেক পত্নী-শ্যালিকার বাড়ি সিবিআই হানা! সবটাই লোক দেখানো, কটাক্ষ সেমিলের

অভিষেক পত্নী-শ্যালিকার বাড়ি সিবিআই হানা! সবটাই লোক দেখানো, কটাক্ষ সেমিলের

কলকাতা:  প্রথমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী, পরে তাঁর শ্যালিকার বাড়িতে সিবিআই হানা৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি৷ এ প্রসঙ্গে বাম নেতা সেলিম কটাক্ষ করে বলেন, সবটাই নাটক৷ সবটাই লোক দেখানো৷ লিফস অ্যান্ড বাউন্স কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে৷ কোম্পানি অ্যাফেসার্স, ইডি, সেবি, সিবিআই চার বছর ধরে কী করল? 

আরও পড়ুন-  সম্পর্কের টানাপোড়েনে সন্দেহের শিকার মা-মেয়ে, বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, কাটা হল চুল

তোপ দেগে বলেন, সাপের ভেলকি দেখানো হচ্ছে? ইডি, সিবিআই বিজেপি’র আমলে যা অবস্থা একই অবস্থা আমাদের রাজ্যের কলকাতা পুলিশ, সল্টলেক কমিশনারেট, সিআইডি’র৷ কোনও সংস্থার গ্রহণযোগ্যতাই নেই৷ কলকাতা পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী সন্ত্রাসের কারণে গাড়ির কাঁচে কালো আড়াল রাখা চলে না৷ অথচ কলকাতা পুলিশই কালো কাঁচে ঢাকা গাড়ি পাহারা দিয়ে ঢোকাচ্ছে, বার করছে৷ এর থেকেই বোঝা যায় এজেন্সিগুলির কী হাল৷ 

তিনি আরও বলেন, গরু হোক বা সোনা পাচার, সকলেই মনে করছে এর তদন্ত করা হবে৷ কিন্তু আমরা মনে করি পাচারকারীদের তৃণমূল থেকে বিজেপি’তে পাঠিয়ে দিলেই সব হজম হয়ে যাবে৷ ইডি, সিবিআই পাঠানো মানেই হল আমন্ত্রণপত্র পাঠানো৷ এক সময় বলেছিলাম, শুভেন্দু অধিকারীকেও নিমকি সিঙ্গারা খাইয়ে জানতে চাওয়া হবে কবে বিজেপিতে আসছেন? এটা শুনে শুভেন্দুর গুণ্ডারা তমলুকে আমার ছাত্রদের উপর হামলা করেছিল৷ কিন্তু কথাটা বাস্তব ছিল৷ তাই ইনস্টলমেন্টে না পাঠিয়ে পুরোটাই চলে যেতে পারে৷     

অন্যদিকে টেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম দুর্নীতিরই যেন পুনরাবৃত্তি ঘটছে বাংলায়৷ ভোটের মুখে সাড়ে ষোল হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করাপ পরই বিস্ফোরক বাম নেতা সেলিম খান৷ শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক৷ 

আরও পড়ুন-  ব্যপম কেলেঙ্কারির মতো টেট দুর্নীতি বাংলায়! অভিযোগ করলেন সেলিম

এদিন সুর চড়িয়ে সেমিল বলেন, যে ভাবে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে, তার সঙ্গে ব্যাপম কাণ্ডের স্পষ্ট মিল রয়েছে৷ মনে হচ্ছে ব্যাপম কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাই এ রাজ্যে চলে এসেছে৷ বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর মতো নেতা, যাঁরা প্রকাশ্যে বলে বেড়ান তৃণমূলের ৬০-৬২ জনকে চাকরি দিয়েছি, পরিবারের সদস্যদের চাকরি দিয়েছি, তাঁদের ট্রেনিংও মনে হচ্ছে ব্যাপম থেকেই হয়েছে৷ নিয়োগ থেকে ভর্তি, কাটমানি, সবটাই ব্যাপমকাণ্ডের জড়িতদের থেকে নেওয়া৷ সেকারণেই মানুষ স্বচ্ছতা চাইছে৷ বিকল্প চাইছে৷ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল যা করছে ত্রিপুরায় সেটাই করছে বিজেপি সরকার৷ কেন্দ্রীয় সরকারও নিয়োগ করতে পারেনি৷ রেলে কোনও নিয়োগ নেই৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *