কলকাতা: প্রত্যাশা মতোই বাংলায় আরও বেশ কয়েকদিনের জন্য বাড়ল ‘লকডাউনের’ মেয়াদ। ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত জারি ছিল বিধিনিষেধ, কিন্তু এখন তা বাড়ান হয়েছে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। লোকাল ট্রেন আপাতত বন্ধই থাকছে তবে আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে রাজ প্রশাসন। আগের মতই জারি থাকছে নাইট কার্ফু। নবান্ন থেকে দেওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনা আবহে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকছে বিধিনিষেধ। তবে ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে করোনার বিধি মেনে খোলা যাবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কোচিং সেন্টারগুলি। বাজার-হাট খোলার ক্ষেত্রে আগের নিয়মই বজায় থাকবে বলে জানান হয়েছে নির্দেশিকায়। আরও জানান হয়েছে, জরুরি পরিষেবা ছাড়ের যে নিয়ম তা আগের মতোই বহাল থাকবে এবং নাইট কার্ফুর সময়ও একই রাখা হয়েছে রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা।
আরও পড়ুন-Breaking: ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে প্রথম গ্রেফতারি CBI-এর
একাধিক গবেষণা রিপোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে আগামী অক্টোবর মাসে সবথেকে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ। দেশের চিন্তা তো বেড়েছে, তবে সব থেকে বেশি চিন্তায় বাঙালিরা কারণ সেই মাসেই পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজা। তাই অবশ্য ভাবে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে রাজ্য। এদিকে, আসন্ন উৎসবের মরসুমে কোভিড সংক্রমণ পরিস্থিতি যেন কোনও ভাবেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে সতর্ক করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা আজ এই ব্যাপারে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালীকাকে লেখা চিঠিতে সংক্রমণ প্রতিরোধে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। উৎসবের মরসুমে ভিড় এড়াতে রাজ্যকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও চিঠিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- মা আসছে, কিন্তু বায়না কোথায়? দুশ্চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা
অন্যদিকে, পুরসভা ঘোষণা করেছে, মুখে যদি কারোর মাস্ক না থাকে তাহলে পুজোর বাজারে কেনা-বেচা দুই নিষিদ্ধ! কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, যে হকার বা দোকানদার মাস্ক পরবেন না তাদের বিরুদ্ধে অতিমারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে যারা মাস্ক পরে কেনাকাটা করতে আসবেন না তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এর পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, শহরের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি বাসে যাতে মাস্ক না পড়লে কাউকে উঠতে না দেওয়া হয় সেই দিকে নজর দিতে হবে কন্ডাক্টরদের।