মা আসছে, কিন্তু বায়না কোথায়? দুশ্চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা

মা আসছে, কিন্তু বায়না কোথায়? দুশ্চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা

নদিয়া: আসছে পুজো৷ শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন৷ তবু বড় বাজেটের প্রতিমার অর্ডার নেই এখনও৷ নদীয়ার কৃষ্ণনগরে ঘূর্ণির মৃৎ শিল্পীদের চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ৷ 

আরও পড়ুন- ফের ধর্মঘটের পথে ট্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশন

মৃৎ শিল্প মানেই নদিয়ার কৃষ্ণনগর৷ কৃষ্ণনগরের শিল্পীদের তৈরি প্রতিমায় থাকে বিশেষ চমক৷ শিল্পীদের হাতের জাদুতে ফুটে ওঠে মায়ের অপূর্ব রূপ। মাতৃ মূর্তির সাজের উৎকর্ষতা ও রূপ লাবন্যের বহরে ও বাহারে যেন প্রতিবছরই একে অপরকে টেক্কা দেয়। কিন্তু করোনা আবহে এবছর কৃষ্ণনগরে ঘূর্ণির পুতুল পট্টির চালচিত্রটা কেমন? হাড়ির খোঁজ পেতে পা রেখেছিলাম কিছু মৃৎ শিল্পের কারখানায়৷ কিন্তু সেখানে যেতেই ধরা পড়ল মন খারাপের ছবি৷

নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত ফুলিয়া অঞ্চলের বিশিষ্ট তাঁত শিল্পী বীরেন বসাকের বাড়ির মাতৃ মূর্তি তৈরির প্রস্তুতি চলছে সুবীর পালের কারখানায়।  সুবীর পাল জানালেন, এই ধরনের বড়ো মাতৃ মূর্তি তিনি খুব কমই তৈরি করেন৷ তাঁর প্রধান কাজ মডেল ও স্ট্যাচু তৈরি করা। তিনি জানান, পরিস্থিতি খবুই খারাপ৷ গতবছরে নির্মিত প্রতিমা এখনও কারখানায় পড়ে আছে৷ 

আরও পড়ুন- Breaking: ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে প্রথম গ্রেফতারি CBI-এর

আবার মৃৎ শিল্পী শঙ্কর পাল জানান, এবছর মাতৃ মূর্তি তৈরির অর্ডার অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম। তাঁর কথায়, ‘‘করোনা আবহে সব বদলে গিয়েছে৷ আগে পুজোর আগে নাওয়া খাওয়ার সময় থাকত না৷ এখন সেখানে কাজই নেই৷’’ তবে এখনই আশা ছাড়তে নারাজ তাঁরা৷ হাতে এখনও তো কিছু সময় আছে। যদি প্রতিমা তৈরির অর্ডার আসে! 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − six =