কলকাতা: গতকাল ভবানীপুরে শেষ লগ্নের প্রচারে ব্যাপক হইচই হয়। প্রচারে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে লাথি, ধাক্কা মারা হয় বলেও অভিযোগ। এদিকে আবার তাঁর নিরাপত্তারক্ষী বন্দুক বের করে আরও বড় বিতর্ক সৃষ্টি করে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ ভোট স্থগিত রাখার দাবিও তুলেছিলেন, যা আদালতে মান্যতা পায়নি। এবার এই ইস্যুতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল খোদ পুলিশ।
আরও পড়ুন- একই পরিবারের ৩ জনকে লক্ষ্য করে গুলি, হত এক, আহত দুই
গতকাল যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল ভবানীপুরে তার দায় বিজেপির ওপরই চাপানো হয়েছে। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে বলেছে, অনুমতি না নিয়ে মিছিল করেছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিকে, নিরাপত্তারক্ষীদের পিস্তল বের করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ইস্যুতে কোনও পক্ষ কোনও মামলা দায়ের করেনি, তাই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল। অন্যদিকে গতকালই তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় গেরুয়া সাংসদ দিলীপ ঘোষকে একহাত নিয়ে বলেছিলেন, দিলীপ ঘোষের দাবি অবাস্তব ও অসম্ভব। মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখিয়েছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে। আর উনি ওখানে গিয়েছিলেন অশান্তি করতেই, কিছুটা সফলও হয়েছেন, বলে দাবি তাঁর। তিনি এও বলেন, দিলীপ ঘোষ এখন আর রাজ্য সভাপতি নন, তাই তাঁর এই বিষয়ে কথা বলা সাজে না। সৌগতর আরও সংযোজন, দিলীপ ঘোষ যে ভোট স্থগিতের কথা বলছেন তা অর্থহীন। বিজেপি খালি ভোট আটকাতে চায়, মানুষকে বঞ্চিত করতে চায়।
আরও পড়ুন- ‘তৃণমূল করিস’? হুমকি দিয়ে রাতের ভবানীপুরে দাপিয়ে বেরাল কোলা গাড়ি!
এদিন আবার হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে উপনির্বাচন করাতে কোনও বাধা নেই। ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত সূচি মেনেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন হবে৷ কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ তাদের রায়ে স্পষ্ট জানায়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন হতে কোনও বাধা নেই৷ এর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে বা নির্বাচন বন্ধ করা হোক, এমন কোনও দাবি জানিয়ে মামলা করা হয়নি৷ ফলে ভবানীপুরে উপনির্বাচন করতে কোনও রকম অসুবিধা নেই৷