প্যারা অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যোগ্যতা থাকলেও চাকরি মেলেনি! হাইকোর্টে মামলা

প্যারা অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যোগ্যতা থাকলেও চাকরি মেলেনি! হাইকোর্টে মামলা

কলকাতা: ২০১২ সালে প্যারা অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করেছিলেন বঙ্গ তনয় দিবাকর কুন্ডু। পরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্রীড়াবিদ সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন তাঁর অভিযোগ সেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। দাবি করেছেন, যোগ্য প্রার্থী হয়েও তাঁকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই তিনি দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের। পঞ্চায়েত দফতরে চাকরি পাওয়ার কথা ছিল তাঁর বলে দাবি।

আরও পড়ুন- ‘যেখানে আটকাবে, সেখানেই বসে পড়ব’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার দিলীপের

বুধবার আদালতের বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে মামলার শুনানি চলাকালীন জাতীয় সাঁতারু দিবাকর কুন্ডুর আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী বলেন, বিশেষভাবে সক্ষম তাঁর মক্কেল সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে প্যারা অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করেছিলেন। রাজ্য সরকার দিবাকর কুন্ডুকে শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ হিসাবে সম্মানিত করে। কিন্তু নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় যা যা সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল উত্তর দিনাজপুর ডিস্ট্রিক্ট লেভেল সিলেকশন কমিটি সেই সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে তাঁকে। এও অভিযোগ, কোনও প্রাপ্ত নম্বর বা মেধা তালিকা প্রকাশ না করেই পদে নিয়োগ হয়েছে। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী জানতে চাইলে কোনও সদুত্তর দেওয়া হয়নি।

শুনানির পর বিচারপতি শম্পা সরকার উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসককে নির্দেশ দেন যে, অবিলম্বে মামলাকারীর সমস্ত নথিপত্র নিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। যদি কোনও নিয়োগে দুর্নীতি হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি কেন ক্রীড়াবিদ বঞ্চিত হলেন তার রিপোর্ট আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যেই আদালতে জমা দিতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ন্যাশনাল প্যারা অলিম্পিকে সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন দিবাকর কুন্ডু। অংশগ্রহণ করার জন্য ২০১৫ সালে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাকে মেরিটোরিয়াস স্পোর্টস পার্সেন্ট হিসাবে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। কিন্তু সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে তা কাজে লাগেনি।

আরও পড়ুন- ছয় শর্তে পুজোর অনুদানে সায় কলকাতা হাই কোর্টের

জানান হয়েছে, ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলায় বিভিন্ন পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেখে সেখানে দিবাকর কুন্ডুও আবেদন জানান। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিক অসংগতি দেখতে পান তিনি। সরকারি নির্দেশিকা মেনে ক্রীড়াবিদদের অগ্রাধিকার না দেওয়া এবং পরীক্ষার অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ না করা থেকে রাজ্য সরকারের শ্রম দফতরের গেজেট নোটিফিকেশন না মানা এবং প্রাপ্ত নম্বর সমেত মেধা তালিকা প্রকাশ না করার মতো ঘটনা ঘটে বলেই অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + eight =