বহিরাগত গুণ্ডারা বাংলায় কোভিড ছড়াচ্ছে, নরেন্দ্র মোদীকে হুঙ্কার মমতার

বহিরাগত গুণ্ডারা বাংলায় কোভিড ছড়াচ্ছে, নরেন্দ্র মোদীকে হুঙ্কার মমতার

b387af818b5fc04aaa1a6d61bed17f87

নদীয়া:  সারা দেশে ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রাজ্যেও। বাংলার এই করোনা পরিস্থিতির জন্য নরেন্দ্র মোদীকেই দুষলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

আরও পড়ুন- জীবিত ব্যক্তির নামে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’! চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ মেডিক্যাল কলেজে

শুক্রবার নদীয়ার সভা থেকে মমতা বলেন, বাংলায় কোভিড কমে গিয়েছিল। গত পাঁচ-ছয় মাস রাজ্যে কোভিড ছিল না। যেই সময় সংক্রমণ ছিল না, সেই সময় সকলকে টিকা দিয়ে সুস্থ রাখতে পারতেন নরেন্দ্র মোদী। সকলেই জানে কোভিড দু’ বছর চলবে৷ তা সত্ত্বেও কেন টিকা দেওয়া হল না? তিনি আরও বলেন, আজ ফের করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে৷ তার মধ্যেই বাইরে থেকে লোক বাংলায় আসছে৷ বহিরাগত গুণ্ডারা কোভিড নিয়ে চলে আসছে রাজ্যে৷ এখানে প্রধানমন্ত্রীর সভায় প্যাণ্ডেল বাঁধতেও বাইরে থেকে লোক আনা হচ্ছে৷ হাজার হাজার লোক বাইরে থেকে বাংলায় এসে কোভিড ছড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে৷ তাই নির্বাচন কমিশনকে বলব, বহিরাগতদের যেন বাংলায় ঢোকার অনুমতি দেওয়া না হয়৷ 

তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, প্রধানমন্ত্রী সভা করতে এলে স্থানীয় লোক দিয়ে প্যাণ্ডেল তৈরি করা হোক৷ তাঁদেরও কোভিড টেস্ট করে নেওয়া হোক৷ কিন্তু গুজরাত, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশে থেকে কেন বাংলায় লোক এনে প্যাণ্ডেল হবে? প্রশ্ন তাঁর৷ মমতার হুঙ্কার, বাংলায় কোভিড ছড়াবেন না নরেন্দ্র মোদী৷ তিনি বলেন, বহু দিন আগেই বলা হয়েছিল, বিনা পয়সায় আমরা সকলকে টিকা দিতে চাই৷ কিন্তু সেটাও দেওয়া হয়নি৷ রাজনীতি ছাড়া কিছুই করেননি নরেন্দ্র মোদী৷ রাজ্যের হাতে যতটা ভ্যাকসিন আছে, সেটাই বিনা পয়সায় দেওয়া শুরু হয়েছে৷ আগামী দিনেও দেওয়া হবে৷ সেই সঙ্গে ভোটারদের মাস্ক পরার আর্জিও জানান তিনি৷ তাঁর কথায়, শান্তিতে খেলুন, শান্তিতে ভোট দিন৷  

আরও পড়ুন- BREAKING: শীতলকুচিকাণ্ডে CID-র রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

পাশাপাশি এদিন মমতা বলেন, বিজেপি মানুষের সম্মান কেড়ে নেবে। মানুষকে বাঁচতে দেবে না। ভোটের আগে কোনও কোনও জায়গায় ক্যাস দিচ্ছি। তাঁদের বলুন ক্যাস নয়, বিনা পয়সায় গ্যাস চাই। বিনা পয়সায় গ্যাস দিতে না পারবেল মোদী-শাহ ধপাস হয়ে পড়বে। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *