কলকাতা: শীতলকুচির ঘটনায় CID তদন্ত রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট৷ শীতলকুচির গুলি চালানোর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়৷ মামলায় রাজ্য জানিয়েছে, এই ঘটনায় দুটি FIR হয়েছে৷ একটি সিয়াইএসএফ ও একটি তৃণমূল করেছে৷ তদন্তে এখনও পর্যন্ত কী উঠে এসেছে, সেটা জানাতে হবে আগামী ৫ মে’র মধ্যে৷ অন্যদিকে কমিশন জানিয়েছে, তারা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি, তবে তা কোন রাজনৈতিক দলের হাত দিয়ে নয়, অর্থসহযোগিতা করা হবে জেলাশাসকের মাধ্যমে৷
শনিবার চতুর্থ দফার বিধানসভা নির্বাচনের দিন কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জন নিহত হন৷ এই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা এই মুহূর্তে তুঙ্গে৷ গোটা ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জোড়া জনস্বার্থ মামলা৷ কীভাবে গুলি চলেছে, সেই ব্যাপারে তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়৷ কটি মামলা দায়ের করেন আইনজীবী রবি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়৷ দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন আইনজীবী ফেরদৌস শামীম৷ জানা গিয়েছে, বিশেষ তদন্তাকারী দল গঠন করে গোটা ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি৷ দু’এক দিনের মধ্যেই ঘটনাস্থলে যেতে চলেছে সিআইডির বিশেষ দল৷
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণাণের ডিভিশন বেঞ্চে আজ ছিল ওই মামলার শুনানি৷ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শীতলকুচিকাণ্ডে যে চারজন যুবকের মৃত্যু হয়েছে সেই ঘটনায় হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানানো হয় মামলাকারীদের তরফে৷ পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়৷ শীতলকুচিতে যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গুলি চালিয়েছেন, তাদের সকলকে যাতে নির্বাচন থেকে অব্যাহতি রাখা হয়, সেই আবেদন জানানো হয় মামলাকারীদের তরফে৷ আইনজীবী ফিরদৌস শামীম তাঁর আবেদনে জানান, নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে শীতলকুচি ঘটনার তদন্ত করা হোক৷ মামলার দীর্ঘ শুনানির পর আজ হাইকোর্টের তরফে CID তদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে৷ রিপোর্ট আসার পর মামলার পরবর্তী ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে৷
মামলাকারীকে তরফের স্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে জানানো হয়েছে, গুলি চালানোর ঘটনা কীভাবে ঘটল তার প্রেক্ষিতে বিচারবিভাগীয় তদন্ত দরকার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে কোম্পানি এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের যত দ্রুত সম্ভব ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে৷