জীবিত ব্যক্তির নামে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’! চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ সরকারি হাসপাতালে

জীবিত ব্যক্তির নামে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’! চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ সরকারি হাসপাতালে

কলকাতা:   হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলা হয়েছিল মৃত্যু হয়েছে রোগীর৷ মর্গ থেকে মৃত দেহ আনতে গিয়ে হতবাক পরিবার৷ বাড়ির লোককে দেখতে পেয়ে তাঁদের ডাক দিলেন খোদ রোগী৷ ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে উঠল প্রশ্ন৷ 

আরও পড়ুন- BREAKING: শীতলকুচিকাণ্ডে CID-র রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বলে দাবি করা নিয়ে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ উঠল মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে৷ এদিন সাবির মোল্লা নামে এক রোগীকে মৃত বলে ফোন করা হয় তাঁর বাড়িতে৷ গতকাল রাতে হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলা হয়, ১১ এপ্রিল বুকে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাবির মোল্লার মৃত্যু হয়েছে৷ আজ সকালে মৃতদেহ দেখতে হাসপাতালে দেখতে আসেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা৷ সেই সময় হাসপাতাল থেকে বলা হয়, আপনাদের রোগী করোনা পজেটিভ৷ তাই আপনাদের হাতে দেহ তুলে দেওয়া যাবে না৷ এখান থেকে সোজা বাঘমারি কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে মৃতদেহ৷ সেখানেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হবে৷

এরই মধ্যে সাবির মোল্লার বাড়ির এক সদস্য দেখতে পান হাসপাতালের উপরে একটি শৌচাগারের জানলা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে ডাকছেন তিনি৷ এই ঘটনায় তাঁরা বিস্মিত হয়ে পড়ে৷ যে ব্যক্তিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত বলে ঘোষণা করেছিল তিনি কী ভাবে জীবিত হতে উঠলেন? তড়িঘড়ি হাসপাতাল কর্তপক্ষের কাছে গিয়ে ফের দেখা করেন তাঁরা৷ সেই সময় তাঁদের বলা হয়, এটা আপনাদের চোখের ভুল৷  অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ 

আরও পড়ুন- ব্রেকিং: পশ্চম দফার নির্বাচনে কমিশনকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

এদিকে সাবির মোল্লার স্ত্রী বলেন, গতকাল রাতে স্বামীর সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা হয় তাঁর৷ সাবির জানান তাঁর বুকে ব্যাথা রয়েছে৷ চিকিৎসক দেখছেন৷ তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে৷ কাগজপত্র প্রস্তুত করতেও বলেন তিনি৷ এর পর রাতে তাঁদের বলা হয় সাবির আলির মৃত্যু হয়েছে৷ তাঁদের হাতে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ও হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ আজ সকালে পরিবারের লোকজন যখন কান্নায় ভেঙে পড়েছিল তখন উপর থেকে তাঁদের ডাকেন খোদ সাবির মোল্লা৷ এই বিষয়ে কতৃপক্ষ অবশ্য মানতে নারাজ৷ তাঁরা বলেন, ভিডিয়ো করে নিয়ে আসুন আপনার বাবা বেঁচে আছে৷ পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 2 =