কলকাতা: পর্নোগ্রাফি কাণ্ডে গ্রেফতার দুই অভিযুক্তকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল বারাসাত আদালত। একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দমদম থেকে গ্রেফতার করা হয় মডেল নন্দিতা দত্ত ও তাঁর সঙ্গী মৈনাক ঘোষকে৷ তাঁদের ৭ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়ে এদিন বারাসত আদালতে তুলেছিল নিউটাউন থানার পুলিশ। বারাসাত আদালত তাঁদের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়৷
আরও পড়ুন- দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ রাজ্য! বেআইনি নির্মাণ নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অমর্ত্য দে জানান, অভিযুক্তের তালিকায় আরও পাঁচ-ছয় জনের নাম রয়েছে। আজ দু’জনকে আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালত তাঁদের ৪ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এক মডেলের অভিযোগ, তাঁকে শাড়ি স্যুটের জন্য ডাকা হয়েছিল৷ কিন্তু জোড় করে পর্ন ছবির শ্যুট করানো হয়। এবং পরে তা নীল ছবির সাইটে আপলোড করা হয়৷ তিনি জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে নন্দিতার সঙ্গে তাঁর আলাপ। সেই সূত্র ধরেই প্রথমে বালিগঞ্জে একটি ফ্ল্যাটে তাঁকে শ্যুটিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি বুঝে শ্যুট করতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে রীতিমতো হুমকি দেন নন্দিতা ও মৈনাক। এর পরেই জোড় করে শ্যুট করে সেই ছবি বিদেশি পর্নসাইটে আপলোড করা হয়৷
আরও পড়ুন- ‘সকলকে খুশি করার রাজনীতি তো করিনি’ ফের জল্পনা উস্কে দিলেন বাবুল
২৫ জুলাই পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানান তিনি৷ জানান, নিউ টাউনের একটি বড় হোটেলে এই শ্যুটিং চলে৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই নন্দিতা ও মৈনাককে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় ছিলেন নন্দিতা। তাঁর পেজে ২১ হাজারের বেশি ফলোয়ার্স রয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে জোড় করে নীল ছবিতে কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে৷ তিনিই এই চক্রটি চালাতেন৷ ফেসবুকের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে উঠতি মডেল এবং ‘ইচ্ছুক’ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত৷ তার পর নীল ছবিগুলি দেখানো হত ‘নিওফ্লিক্স’ এবং ‘রেডওয়াইপ টু’-তে৷