বহরমপুর: দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে মিথ্যে কথা বলছেন৷ সরাসরি নরেন্দ্র মোদীর দিকে আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রধানমন্ত্রী বলছেন, সরকারি কর্মচারীরা নাকি বেতন পায়না৷ কোন সরকারি কর্মচারী বেতন পাননি৷ দেখান মোদী বাবু৷ এ কেমন উদ্ভট কথা? প্রশ্ন তোলেন মমতা৷
আরও পড়ুন- শোভনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা এবার কুণালের! চলতি সপ্তাহেই শুনানি
আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনি বিএসএনএল, সেল, কোল, লাইফ ইনস্যুরেন্স বিক্রি করে দিয়েছেন৷ রেলের বেসরকারিকরণ করে দিচ্ছিন৷ আগামী দিনে মানুষ ব্যাঙ্কের টাকা, ইনস্যুরেন্সের টাকা পাবে না৷ আগে সেই কথার জবাব দিন৷’’
তাঁর কথায়, বিজেপি জোতদার, জমিদারদের, কোটিপতিদের দল৷ গরিব মানুষের দল নয়৷ এই দল চোর, সর্দারদের দল৷ দাঙ্গাবাদ দল৷ তাই নোটবন্দি, ঘরবন্দি করা বিজেপি’কে গণতন্ত্রের মধ্যে দিয়ে এবার বন্দি করবে মানুষ৷ সুকান্তের কবিতার লাইন ধরে মমতা বলেন, ‘জনগণের আদালতে হতে হবে বন্দি’৷ তিনি বলেন, আগামী দিন বাংলা সারা ভারতকে পথ দেখাবে৷ গুজরাত বাংলা শাসন করবে না৷ বাংলাই বাংলা শাসন করবে৷ তৃণমূল কংগ্রেসই বাংলা শাসন করবে৷ দিল্লির বিমাতৃসুলভ আচরণের বিরুদ্ধে লড়াই হবে৷
কষক আন্দোলন নিয়ে যখন দেশ উত্তাল তখন বাংলার কৃষকরা শান্তিতে আছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ রাজ্যে কৃষকদের জন্য কৃষকবন্ধু রয়েছে৷ এই প্রকল্পে কোনও কৃষক মারা গেলে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়৷ তাছাড়াও রয়েছে শস্য বিমা৷ যেখানে কৃষদের একটা টাকাও দিতে হয় না৷ বিনা পয়সায় শস্যবিমা দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের৷
আরও পড়ুন- সিরাজের মাটিতে দাঁড়িয়ে ‘মীরজাফর বধ’ মমতার
মুখ্যমন্ত্রী জানান, যাঁদের এক একর জমি রয়েছে তাঁরা এতদিন বছরে ৫ হাজার টাকা করে পেতেন৷ যাঁদের এক একরের কম জমি রয়েছে তাঁরা দেড় থেকে দুই হাজার টাকা পেতেন৷ কিন্তিু আগামী জুন মাস থেকে ৫ হাজারের জায়গায় ৬ হাজার টাকা দেওয়া হবে৷ আর দেড় হাজারের জায়গায় তিন হাজার টাকা পাবেন কৃষকরা৷
মুর্শিদাবাদের মানুষকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, তৃণমূলের মাথার উপর আমি আছে৷ কেউ দুর্নীতি করলে রেহাই করব না৷ মানুষের কাজ করাটাই আমাদের লক্ষ্য৷ জনগণের বিরুদ্ধে কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি৷ নেব না৷ সবাই কোনও না কোনও ভাবে উপকৃত হবেন৷