মুর্শিদাবাদ: সিরাজউদ্দৌলার মাটিতে দাঁড়িয়ে নাম না করে ‘মীরজাফর’দের বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একহাত নিলেন বিজেপি’কে৷
আরও পড়ুন- ঘাসফুলে যোগ দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশকর্তা হুমায়ুন কবির
এদিন মুর্শিদাবাদের জনসভায় পলাশির যুদ্ধের প্রসঙ্গে তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, পলাশীর প্রান্তরে সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে মীরজাফরের যুদ্ধ হয়েছিল৷ সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক৷ সেই সময় নিজের মুকুট খুলে সিরাজউদ্দৌলা বলেছিলেন আমার মুকুট খুলে দিচ্ছি৷ আমি সম্রাট হতে তাই না৷ আমি চাই আমার দেশ ভালো থাকুক৷ তুমি আমার দেশ মাতৃকার সম্মান রক্ষা করো৷ সেদিন মীরজাফর সিরাজউদ্দৌলার কথা শোনেনি৷ ইংরেজদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের সঙ্গে গদ্দারি করেছিলেন৷ ঠিক সেভাবেই দু’এক জন দুষ্টু গরু দুর্নীতি চাপা দিতে হাম্বা হাম্বা করে বিজেপিতে চলে যাচ্ছে৷
তিনি বলেন, ‘‘এই দুষ্টু গরুরা অনেক দুর্নীতি করেছে৷ এখন হঠাৎ করে তাঁদের মনে পড়েছে যদি গরু চুরি বা কয়লা মামলায় ধরা পড়ি৷ তার চেয়ে ভালো বিজেপি’র ওয়াশিং মেশিনে চলে যাওয়া৷ বিজেপি’র ওয়াশিং মেশিনে কালো হয়ে যাচ্ছে আর সাদা হয়ে বেড়িয়ে আসছে৷ আসলে এগুলো সাদা নয়৷ এগুলো কালো কাদা৷ এই কাদাগুলো এক জায়গায় জমা হয়েছে৷’’
কলনায় আক্রমণের যে পারদ চড়িয়েছিলেন, বহরমপুরেও সেই উত্তাপ জিইয়ে রাখলেন মমতা৷ বিজেপি’কে আরও একবার বহিরাগত বলে উল্লেখ করলেন তিনি৷ তাঁর কথায়, বিজেপি বাংলার কোনও দল নয়৷ এটা গুজরাতের রাজনৈতিক দল৷ দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতে দাঙ্গা করার দল৷ অসমে এনআরসি আর সিএএ করা দল৷ বিজেপি কোনও ধর্মের নয়৷ নোটবন্দি ইস্যু তুলে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি মুখে বলে হরি হরি আর সাধারণ মানুষের পকেট চুরি৷’’ কিন্তু ‘‘আমরা বলি হরে কৃষ্ণ হরে হরে তৃণমূল কংগ্রেস ঘরে ঘরে৷ হরে কৃষ্ণ হরে হরে শান্তি থাকুক ঘরে ঘরে৷’’
আরও পড়ুন- পিসি নকল করছে, ভাইপো বিগড়ে গিয়েছে, ঝাঁঝাল আক্রমণ নাড্ডার
এদিন কালনার জনসভা থেকেও দলত্যাগীদের খোঁচা দিয়েছিলেন মমতা৷ তিনি বলেন, ‘‘কয়েকটা দুষ্টু গরু বেশ কয়েকদিন ধরেই নিজেদের দুর্নীতি চাপা দেওয়ার জন্য ইধার-উধার করে বেড়াচ্ছে৷ তাঁরা চলে গিয়ে ভালোই হয়েছে৷ পাপ বিদায় নিয়েছে৷’’