তারাপীঠ: বাংলার পদ্ম ফোটানোর ডাক দিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করতে ফের বঙ্গ সফরে জেপি নাড্ডা৷ তারাপীঠে চিলার মাঠের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝাঁঝালো ভাষায় বিঁধলেন তিনি৷ তোপ দেগে বললেন, মমতাদি মাকে সম্মান করেন না, মাটিকেও ভালোবাসেন না, মানুষের চিন্তাও করেন না৷ এরাজ্যে শুধু তোলাবাজি আক কাটমানি চলে৷
আরও পড়ুন- বিজেপি বাংলার পার্টি নয়, গুজরাট-দিল্লিতে দাঙ্গা করা পার্টি! একহাত মমতার
বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি এদিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর হৃদয়ে বাংলা রয়েছে৷ আর সংস্কৃতির কথা বলছেন৷ মমতাদি আমার নামের সঙ্গে বিশেষণ জুড়ে দিয়েছিন৷ এটাই কি বাংলার সংস্কৃতি? এইতো হল পিসির হাল৷ আর ভাইপো দু’দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দুর বাবাকে নিয়ে যে ভাবে কথা বলেছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না৷ যে ভাষায় কথা বলেছে, তাতে কলঙ্কিত হয়েছে বাংলা৷আসলে ছেলে বিগড়ে গিয়েছে৷ সরকার আসে যায়, নেতারা আসে যায়, কিন্তু সামলে কথা বলা উচিত৷ আসলে বিগড়ে যাওয়া ছেলেদের এমনই হাল হয়৷
তোপ দেগে তিনি বলেন, মা-মাটি মানুষ ছেড়ে তোষণের রাজনীতি করা হচ্ছে৷ চারিদিকে তোলাবাজি আর কাটমানি৷ মে মাসের মধ্যে মানুষ আপনাদের কাট করে দেব৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেই তিনি বলেন, ‘‘ডায়মন্ডহারবার, ভবানীপুর গিয়ে কি কোনও ভুল করেছি? এটা কি কারও সম্পত্তি নাকি৷ ভাইপো একবার নয় অনেকবার ডায়মন্ডহারবার যাব৷ আর দেখিয়ে দেব প্রজাতন্ত্র কাকে বলে৷’’ তাঁর কথায়, রাজীব, মুকুলরা সমাজের সেবা করতে চেয়েছিলেন। তাই এতদিন তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করার পরও ওঁনারা পদ্ম ফোটানোর লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছেন৷
নকল করার তকমা সেঁটে নাড্ডা বলেন, ‘মমতা নিজে কিছু করেন না, সবটাই নকল করেন। মোদীজির স্বচ্ছভারত অভিযান প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা হয়ে গিয়েছে বাংলার আবাস যোজনা। সড়ক যোজনার নামও বদলে দেওয়া হয়েছে। এভাবে মানুষের মন থেকে মোদীজিকে মোছা যাবে না।’
আরও পড়ুন – শ্যামাপ্রসাদের নাম করতেই বিপত্তি! গোলযোগে ভাষণ থামালেন নাড্ডা
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় প্রশাসনের রাজনীতিকরণ করে হয়েছে। বাংলাতে কারও বাকস্বাধীনতা নেই। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে বাংলার মানুষ বঞ্চিত। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলায় আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করবে। প্রধানমন্ত্রীর কিষাণ সম্মান নিধির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলার ৭৬ হাজার কৃষক৷