শ্যামাপ্রসাদের নাম করতেই বিপত্তি! গোলযোগে ভাষণ থামালেন নাড্ডা

শ্যামাপ্রসাদের নাম করতেই বিপত্তি! গোলযোগে ভাষণ থামালেন নাড্ডা

বোলপুর: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় নিজেদের ভিত আরো মজবুত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ভোটের আগে শাসকদলের একের পর এক নেতার গেরুয়া শিবিরে যোগদানও রাজনৈতিক সমীকরণে তাঁদের পক্ষে গিয়েছে। এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে আরো কোণঠাসা করতে বাংলায় এসেছেন জে পি নাড্ডা।

বাংলায় রথযাত্রা পালনের উদ্দেশ্যে গত ৬ ফেব্রুয়ারি এ রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ৩ দিন ধরে বিভিন্ন জেলায় একাধিক কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি। কিন্তু এদিন বীরভূমের তারাপীঠের সভা মঞ্চে বক্তৃতা দিতে উঠেই বিপত্তির মুখোমুখি হলেন তিনি। ভাষণের শুরুতেই মাইকে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে কথা থামিয়ে দিতে হল ‘বাংলার জামাই’ জগৎ প্রকাশ নাড্ডাকে।

ঠিক কী হয়েছিল? বস্তুত এদিন তারাপীঠে বিজেপির সভা মঞ্চে যথাসময়ে বক্তব্য রাখতে ওঠেন জে পি নাড্ডা। কিন্তু একটি লাইন শেষ হতে না হতেই বিকট শব্দ হতে থাকে মাইক থেকে। শব্দ থআমার জন্য বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি। কিন্তু তা বেড়েই চলে।

যান্ত্রিক বিপত্তি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ওই মাইক ছেড়ে মঞ্চের অপর প্রান্তে অন্য একটি মাইকে গিয়ে ফের ভাষণ শুরু করেন জে পি নাড্ডা। এই সাময়িক বাঁধা যে বাংলায় বিজেপির অগ্রসরকে রুখতে পারবে না, ভাষণে সেই বার্তাও দেন তিনি। নতুন মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “মঞ্চ বদলে যেতেই পারে কিন্তু চিন্তাভাবনা কখনো বদলায় না।” এখানেই শেষ নয়, তিনি আরো বলেন, “আমাকে যতই আটকানোর চেষ্টা করা হোক, কেউ আটকাতে পারবে না।” এরপর অবশ্য আবার পুরোনো প্রসঙ্গে ফিরে যান তিনি। যেখানে নিজের ভাষণ থামিয়ে ছিলেন সেখান থেকেই ফের বলতে শুরু করেন।

উল্লেখ্য, দু’দিন আগে মালদার সাহাপুরের খোলা মাঠে বসে কয়েক হাজার কৃষকের সঙ্গে পাত পেড়ে খিচুড়ি খান জে পি নাড্ডা। দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের আবহেও বিজেপি যে বাংলার কৃষকদের পাশেই আছে চা প্রমাণ করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × three =