শোভনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা এবার কুণালের! চলতি সপ্তাহেই শুনানি

শোভনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা এবার কুণালের! চলতি সপ্তাহেই শুনানি

কলকাতা: কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করলেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র তথা নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে শোভন চট্টোপাধ্যায় ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং অসাংবিধানিক কথা বলেছেন এই অভিযোগ তুলে আলিপুর আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন কুণাল ঘোষ। চলতি সপ্তাহে আলিপুর জেলা আদালতে মামলার শুনানি সম্ভাবনা রয়েছে। 

চিটফান্ড প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে একহাত নিয়ে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘চিটফান্ডের ধারক-বাহক কুণাল ঘোষ’। তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগে শোভন চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘কুণাল ঘোষের কী যোগ্যতা ছিল ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে সংবাদপত্রের মাথা হয়েছিল। চিটফান্ডের ধারক-বাহক কুণাল ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবুন, কে চিটফান্ড এনেছিল’। শোভনের দাবি ছিল, মূলত চিটফান্ডকে বিক্রি করার ব্যবসায় নেমে ছিলেন কুণাল ঘোষ। পরবর্তী ক্ষেত্রে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষকে ‘পকেটমার’ বলেও আক্রমণ করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কুণাল ঘোষের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বাসে পকেটমার ধরা পড়লে সে অন্য লোককে দেখিয়ে পকেটমার বলে দাবি করতে থাকে। এক্ষেত্রেও ঘটনা ঠিক একই রকম। কুণাল ঘোষ অভিযুক্ত। তিনি দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন। সারদা মিডিয়ার সিইও হিসাবে মোটা টাকা মাইনে নিতেন। এরকম পকেটমারকেই মুখপাত্র করেছে তৃণমূল।’’ 

আরও পড়ুনবৃহত্তর ষড়যন্ত্রে যুক্ত শোভন, আইকোরের প্রোমোটার, গ্রেফতার করা হোক: কুণাল 

পরে কুণাল ঘোষও পাল্টা দেন বিজেপি নেতাকে। কুণালের দাবি, শোভন চট্টোপাধ্যায় আইকোরের প্রোমোটার, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। এই বলে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার দাবিও তুলেছিলেন তিনি। কুণাল বলেন, সারদায় কে এক কোটি টাকা পেয়েছেন তা নিয়ে তদন্ত করা হোক। তোয়ালে মুড়ে টাকা নেন শোভন, দাবি কুণালের। স্পষ্ট দাবি করেন, তদন্ত থেকে বাঁচতেই বিজেপিতে গিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানিরই মামলা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক দেবশ্রী রায়। তাঁকেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করে হেনস্থা করা হয়েছে এবং অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুনঅপমানিত হয়েছেন দেবশ্রী, শোভন-বৈশাখীর বিরুদ্ধে করছেন মানহানি মামলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *