কলকাতা: তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসতেই দলের খোলনলচে বদলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি চালু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার সংসদেও ‘এক ব্যক্তি এক পদের ছোঁয়া’৷ লোকসভা এবং রাজ্যসভায় শীঘ্রই এই নীতি চালু করা হবে বলে সূত্রের খবর৷ যার জেরে বদলাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা৷
আরও পড়ুন- আরও মহার্ঘ জ্বালানি, ১৯ জেলায় সেঞ্চুরি পাড় পেট্রোলের
তৃণমূলের পাখির চোখ এখন ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন৷ দিল্লির মসনদকে নজরে রেখেই এই বদল৷ প্রসঙ্গত, লোকসভায় এখন তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি আবার খাদ্য, গণবণ্টন এবং উপভোক্তা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান পদেও রয়েছে৷ তৃণমূলের ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি মেনে যে কোনও একটি পদ ছাড়তে হবে তাঁকে৷ তিনি লোকসভার দলনেতার পদ ছাড়লে সেই জায়গায় দায়িত্ব পেতে পারেন বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায়৷ লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভায় দলনেতা, উপনেতা এবং মুখ্য সচেতক পদেও বদল আনা আনতে চলছে ঘাসফুল শিবির৷
আগামী ১৯ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন৷ তার আগেই এই বদল আনতে চাইছে তৃণমূল৷ এক্ষেত্রে বিধানসভা ভোটে যাঁরা সর্বক্ষণ দলের হয়ে লড়ে গিয়েছেন, দলনেত্রী সেই নেতাদের গুরুত্ব দিতে চাইছেন বলেই সূত্রের খবর৷ এই তালিকায় নিশ্চিত ভাবেই এগিয়ে রয়েছেন সৌগত রায় ও সুখেন্দু শেখর রায়৷ গুরুত্ব পেতে পারেন মহুলা মিত্রও৷ দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার পদ হারালেও পদোন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়েরও৷ আপাতত তিনি দলের মুখ্য সচেতক পদে রয়েছে৷ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলনেতা করা হলে, মুখ্য সচেতক করা হতে পারে কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে৷
আরও পড়ুন- ‘দেশের সলিসিটার জেলারেল নন, উনি BJP-র সিক্রেট জেলারেল’, মেহতাকে খোঁচা অভিষেকের
অন্যদিকে, লোকসভায় দলনেতা বদল করতে চলেছে কংগ্রেসও৷ তৃণমূল কংগ্রেসকে কাছে টানটে দলনেতার পদ থেকে সরানো হতে পারে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে৷ বাদল অধিবেশনের আগেই দলকে চাঙ্গা করতে রদবদলের ছক কষছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী৷ তবে অধীরের ব্যক্তিগত ব্যর্থতা নয়, বরং দিল্লি দখলে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কের ভিত মজবুত করতেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন সোনিয়া গান্ধী৷