এ কোন শাসন চলছে? হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে যোগী সরকারকে এক হাত নিলেন মমতা

এ কোন শাসন চলছে? হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে যোগী সরকারকে এক হাত নিলেন মমতা

8cc0b16c80635e404ac980175e22598d

জলপাইগুড়ি: উত্তর প্রদেশের হাথরাসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দলিতদের উপর আজ অত্যাচার হচ্ছে৷ দলিতরা কাঁদছে৷ নির্বাচন এলেই বাইরে থেকে খাবার নিয়ে দলিতের ঘরে তাঁরা বসে পড়েন৷ আর তারপর বলা হয়, আমরা দলিতের ঘরে বসে খেয়েছি৷ ভোট মেটার পর সেই দলিতদের উপরেই চলে অত্যাচার৷ কি না করা হয়!  

আরও পড়ুন- রূপশ্রী প্রকল্পে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস, নোটিস পাঠাচ্ছে প্রশাসন

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ উত্তর প্রদেশে শুধু ধর্ষণ হচ্ছে না৷ ধর্ষণের পর নির্মমভাবে নির্যাতিতার মৃত দেহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ কোনও অপরাধ হলে, অবিলম্বে সেই ঘটনার তদন্ত করা উচিত৷ আমরা সেটাই করি৷ ৭২ ঘণ্টার মধ্যেও আমরা তদন্ত শেষ করেছি৷ কিন্তু ধর্ষণের পর কোনও তদন্ত হবে না৷ নির্যাতিতার শরীর জ্বালিয়ে দেওয়া হবে৷ এটা কোন শাসন চলছে? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কখনও সংখ্যালঘু, কখনও দলিত, কখনও আদাবাসীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে৷ নির্বাচনের আগে আমাদের রাজ্যে রাজবংশীদের অনেক কথা দিয়েছিল ওরা৷ ভোটের আগে আবার গাল ভরা প্রতিশ্রুতি দেবে৷ কিন্তু তা পূরণ আর করবে না৷ 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গে ৭টি চা বাগান খোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল৷ তিন বছর হয়ে গেল৷ একটাও খোলেনি৷ ওদের সবটাই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি৷ মুখে বলে এক, আর করে অন্য কিছু৷ আমরা যা বলি তাই করি৷ আমরা একসঙ্গে কাজ করব৷ এটা আমাদের প্রতিশ্রুতি৷ এটাই আমাদের সাফল্য৷ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘কথার দাম মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি৷ যার কথার দাম নেই আমি তাঁকে মানুষ বলে মনে করি না৷ যাঁদের কথার দাম আছে৷ তারাই রাজনীতি করবে৷’’  

আরও পড়ুন- বাংলায় লোকাল চালু নিয়ে নীরব রেল-রাজ্য! মুম্বই পরিষেবা পেলেও কেন বঞ্চিত বাংলা?

প্রসঙ্গত, হাথরাস গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে জানিয়ে এর আগেও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি৷ আজ সকালে ট্যুইট করে মৃতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, ‘‘হাথরাসের দলিত তরুণীর সঙ্গে যে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দা করার জন্য আমার কাছে কোনও ভাষা নেই। পরিবারের কাউকে না জানিয়েই মৃতদেহ সৎকার করা হল। এটা লজ্জার। যাঁরা বড় বড় কথা বলে ভোট চেয়েছিল, আজ তাঁদের মুখোশ খুলে গিয়েছে।’’ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *