রূপশ্রী প্রকল্পে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস, নোটিস পাঠাচ্ছে প্রশাসন

রূপশ্রী প্রকল্পে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস, নোটিস পাঠাচ্ছে প্রশাসন

2fdf16c31dfd830eea13ae5af10c5e0c

বহরমপুর: আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বিবাহের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার রুপশ্রী প্রকল্প চালু করেছে৷ এই প্রকল্প চালু হওয়ায় একদিকে যেমন প্রচুর পরিবার উপকৃত হয়েছে, ঠিক তেমনই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে বেআইনি পথ নিয়েছেন বহু আবেদনকারী৷ প্রকল্পের সুবিধা পেতে নতুন নতুন কেলেঙ্কা দেখে  পিছনে কেলেঙ্কারির চক্ষু চড়কগাছ প্রকল্পের কর্তাদের৷

তদন্তে নেমে প্রশাসনের কর্তারা জানতে পারেছেন, বিয়ে আগে বিয়ে হওয়া তরুণী ২ সন্তান কোলে রূপশ্রী প্রকল্পের কথা শুনে ২৫ হাজার টাকা পাওয়ার আশায় আবেদন করেছেন৷ প্রশাসনের কাছে বিয়ের কার্ড ছাপিয়ে আবেদন করেন ওই মহিলা৷ ঘটনার তদন্ত নেমে আবেদনকারীর বাড়িতে পুলিশের মাধ্যমে নোটিস পাঠাচ্ছে রামপুরহাট-১ ব্লক প্রশাসন৷

এখানেই শেষ নয়, নাবালিকা অবস্থায় বিয়ে হওয়া মহিলারাও এখনও টাকার জন্য নয়া ফন্দি এঁটেছেন৷ স্বামীকে ফের পাত্র সাজিয়ে করেছেন আবেদন৷ সরেজমিনে তদন্তে নেমে চোখ কপালে উঠেছে প্রকল্পের কর্তাদের৷ স্বভাবতই রূপশ্রী প্রকল্পকে কেন্দ্র করে কোনও চক্র কাজ করছে বলে মনে করছে ব্লক প্রশাসন৷

সূত্রের খবর, রামপুরহাট-১ ব্লকের রূপশ্রী প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ২০টির বেশি আবেদনকারীকে চিহ্নিত করতে পেরেছে স্থানীয় প্রশাসন৷ কেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, তা ৭ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানতে চেয়ে পুলিশের হাত দিয়ে বাড়িতে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে নোটিস৷ সন্তোষজনক উত্তর না মিললে ওই সমস্ত আবেদনকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন৷

এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-সহ বিয়ের কার্ড এমনকি, অবিবাহিতা বলেও স্বীকারোক্তি দিতে হয়৷ ওই নথি সরেজমিনে তদন্ত করার পর  রাজ্যে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়ে থাকে৷ কিন্তু, এক্ষেত্রে খোঁজখবর নিতে গিয়ে প্রশাসনের আধিকারিকরা জানতে পারেন, কার্ডে পাত্র হিসেবে যাঁর নাম ছাপা হয়েছে তাঁর সঙ্গে আবেদনকারী কারও আট বছর আগে বিয়ে হয়েছে৷ রয়েছে দু’টি সন্তান৷ কেউ আবার নাবালিকা অবস্থায় বিয়ে করেছেন৷ ১৮ বছর হতেই বিয়ের কার্ডে স্বামীর নাম পাত্র হিসেবে দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা পেতে আবেদন করেছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *