কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে নিজের চিরাচরিত আসন ভবানীপুরে না দাঁড়িয়ে এবার নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। যদিও সেই হাড় নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয়নি এবং তার রেশ এখনো বর্তমান। প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ী ঘোষণা করে দেওয়ার পরে প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীর শুভেন্দু অধিকারীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল নন্দীগ্রামে। তারপর থেকে এই বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক বহাল রয়েছে যার জল আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তৃণমূল প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে। আজ ভবানীপুরে কর্মীসভার বৈঠকের সেই নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটালেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- নির্বাচন ঘোষণা হতেই নোটিশ! অভিষেক তলবে ষড়যন্ত্র দেখছেন মমতা
এদিন মমতা বলেন, প্রত্যেকটি বুথ অফিসার থেকে শুরু করে আইসি, প্রিসাইডিং অফিসার থেকে শুরু করে অবজারভার, ডিএম এবং এসপি, সকলকে বদলানো হয়েছিল নন্দীগ্রামে। নির্বাচনে সেখানে শুধু ছাপ্পা করা হয়েছে বলে এদিন অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কথা বলতে গিয়ে বয়াল ঘটনার কথা টেনে আনেন মমতা এবং বলেন সেখানে তিনি দুই ঘন্টা বসে চোখে আঙ্গুল দিয়ে সবাইকে সব দেখিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি আরো দাবি করেছেন, বিজেপি সেখানে কাউকে ভোট করতে দেয়নি, অনেক অত্যাচার করেছে। মমতার দাবি, সেদিন কেউ তার কোন কথা শোনেনি কারণ বিজেপি ভেবেছিল যা ইচ্ছা তাই করে যাবে। এর পাশাপাশি তিনি নির্বাচন যেভাবে সংগঠন করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধেও সুর চড়ান।
আরও পড়ুন- ‘দিল্লিতে কাকে চুমু খেতে হবে?’ ‘ভগবানের জ্যেষ্ঠ পুত্র’কে হুঁশিয়ারি মমতার!
এদিন নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করছে তাই জব্দ আর স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য এজেন্সি দেখিয়ে ভয় দেখাতে চেষ্টা করছে বিজেপি। কংগ্রেসকে এরা এজেন্সি দেখিয়ে জব্দ করেছে, মুলায়ম সিংকে এরা এজেন্সি দেখিয়ে জব্দ করেছে। কারণ রাজনৈতিকভাবে এরা লড়তে পারে না। তিনি বলেন, বিজেপির সম্বন্ধে কিছু বলতে গেলে ভাষা খুঁজে পাই না। একটা কদর্য ভাষা বলতে হয়৷ কিন্তু মাইকের সামনে কদর্য ভাষা বলতে পারি না৷ এটা আমাদের ভদ্রতা, আমাদের সভ্যতা৷ আর এঁদের ষড়যন্ত্রের জন্যেই নির্বাচনে আমাকে আবার দাঁড়াতে হল৷