কলকাতা: বাংলার রাজনীতিতে যদি কাউকে এই মুহূর্তে ‘এভারগ্রিন’ বলা যায় তাহলে তিনি হলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, তিনি যে সব সময় ‘কুল’ থাকেন তা সকলেই জানেন। শরীর খারাপ হোক, কিংবা নির্বাচনী লড়াই, মদন মিত্রকে কখনও টেনশনে দেখা যায় না। তিনি সর্বদা কালারফুল। আজ ভবানীপুরে কর্মীসভার বৈঠকেও এই কথাই বললেন খোদ দলের সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখে একরাশ হাসি নিয়ে মদন মিত্র সম্পর্কে কথা বললেন তিনি।
আরও পড়ুন- নির্বাচন ঘোষণা হতেই নোটিশ! অভিষেক তলবে ষড়যন্ত্র দেখছেন মমতা
এদিন মমতা জানান কে কোন ওয়ার্ডের দায়িত্ব নেবে। কার্যত সকলকে সকলের কাজ ভাগ করে দেন তিনি। তখনই তিনি বলেন, ”মদন তুমি নিজের পাড়াটা খুব ভাল ভাবে করবে। পরশু দিন দেখছিলাম ধুতি, পাঞ্জাবি পরে দাঁড়িয়েছিলে, একদম ওই ভাবে। কিন্তু বেশি সাজুগুজু করবে না।” এরপরেই মমতা জানান, ”মদন একটু কালারফুল ছেলে। আবার মাঝে মাঝে বেশি কালারফুল হয়ে যায়। এখন বেশি কালারফুল হয়ে গেলে আবার প্রবলেম হয়ে যায়।” অন্যদিকে আবার এই সভা থেকেই মমতা ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, ভবানীপুরের বিধায়কপদে ইস্তফা দেওয়া শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে খড়দহে প্রার্থী করা হবে। তাঁর ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে মমতা জানান, তিনি শোভনদেবের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ তিনি তাঁর জন্যই ইস্তফা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি খড়দহ থেকে দাঁড়াবেন। সেখান থেকে লড়বেন। উল্লেখ্য, খড়দহে জিতেছিলেন তৃণমূলের কাজল সিংহ। কিন্তু ফল প্রকাশের আগেই করোনায় মৃত্যু হয় তাঁর। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে উপনির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন- ‘দিল্লিতে কাকে চুমু খেতে হবে?’ ‘ভগবানের জ্যেষ্ঠ পুত্র’কে হুঁশিয়ারি মমতার!
তবে আজ ভবানীপুরের কর্মীসভায় মমতার কথায় ইঙ্গিত মিলল যে, তিনি হয়তো ফলাফলের পর মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি। সুব্রত বক্সির প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, ”এখন যদি আমি বক্সিদাকে গালাগালি দিই তখন বক্সিদা আমার সঙ্গে ঝগড়া করবেন। আমি ওঁদের বললাম ছেড়ে দিন না, কী দরকার? আমি তো এতদিন করলাম, আপনারা করুন, আমিই সবটা করে দেব। বলল, না হবে না। সবার জন্য ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ আর আমার জন্য বলল চেয়ারম্যানও থাকতে হবে, আবার মুখ্যমন্ত্রীও থাকতে হবে। আমি বললাম কেন? আমার সঙ্গে এই বিভেদ কেন? সে ওঁরা শুনবে না। জিজ্ঞেস করুন সামনা-সামনিই বলছি।”