কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে তিনি ‘জিতেও’ হেরে যান। সেই ফলাফল নিয়ে বিতর্ক এখনও বর্তমান। এমনকি নন্দীগ্রামের ফল নিয়ে জটিলতা আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে যখন বিধায়ক না হতে পেরেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন বিজেপির তরফে কটাক্ষ করা হয়েছিল। তবে আজ ভবানীপুরের কর্মীসভায় মমতার কথায় ইঙ্গিত মিলল যে, তিনি হয়তো ফলাফলের পর মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি।
আরও পড়ুন- ‘দিল্লিতে কাকে চুমু খেতে হবে?’ ‘ভগবানের জ্যেষ্ঠ পুত্র’কে হুঁশিয়ারি মমতার!
এদিন তিনি বলেন, ”আমরা সবাইকে নিয়ে চলি, আমাদের এটা একটা পরিবার। আমি শোভনদেবের সিট দেবাকে (দেবাশিস কুমার) দিয়ে, দেবার সিট শোভনদেবকে দিয়েছি, তারপর আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।” এরপরেই সুব্রত বক্সির প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, ”এখন যদি আমি বক্সিদাকে গালাগালি দিই তখন বক্সিদা আমার সঙ্গে ঝগড়া করবেন। আমি ওঁদের বললাম ছেড়ে দিন না, কী দরকার? আমি তো এতদিন করলাম, আপনারা করুন, আমিই সবটা করে দেব। বলল, না হবে না। সবার জন্য ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ আর আমার জন্য বলল চেয়ারম্যানও থাকতে হবে, আবার মুখ্যমন্ত্রীও থাকতে হবে। আমি বললাম কেন? আমার সঙ্গে এই বিভেদ কেন? সে ওঁরা শুনবে না। জিজ্ঞেস করুন সামনা-সামনিই বলছি।” অর্থাৎ মমতার কথায় স্পষ্ট যে তিনি হয়ত নিজে এবার ভোটের ফলের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকতে চাননি, অন্য কাউকে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের অনুরোধেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন- নির্বাচন ঘোষণা হতেই নোটিশ! অভিষেক তলবে ষড়যন্ত্র দেখছেন মমতা
তিনি নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে এদিন আরও বলেন, প্রত্যেকটি বুথ অফিসার থেকে শুরু করে আইসি, প্রিসাইডিং অফিসার থেকে শুরু করে অবজারভার, ডিএম এবং এসপি, সকলকে বদলানো হয়েছিল নন্দীগ্রামে। নির্বাচনে সেখানে শুধু ছাপ্পা করা হয়েছে বলে এদিন অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কথা বলতে গিয়ে বয়াল ঘটনার কথা টেনে আনেন মমতা এবং বলেন সেখানে তিনি দুই ঘন্টা বসে চোখে আঙ্গুল দিয়ে সবাইকে সব দেখিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি আরো দাবি করেছেন, বিজেপি সেখানে কাউকে ভোট করতে দেয়নি, অনেক অত্যাচার করেছে। মমতার দাবি, সেদিন কেউ তার কোন কথা শোনেনি কারণ বিজেপি ভেবেছিল যা ইচ্ছা তাই করে যাবে।