দল বদলের পর বিধানসভায় প্রথম মুখোমুখি মমতা-শুভেন্দু

দল বদলের পর বিধানসভায় প্রথম মুখোমুখি মমতা-শুভেন্দু

কলকাতা:  বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতির আঙিনায় ঝড় তুলে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এর পর থেকে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে৷ নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিজেপি বিধায়ক হয়েছেন তিনি৷ পরবর্তীকালে তাঁকেই বিরোধী দলনেতা হিসাবে বেছে নেয় বিজেপি নেতৃত্ব৷ দল বদলের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত তিনি৷ একের পর এক বিশেষণে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন মমতাও৷ কখনও মীরজাফর, কখনও গদ্দার বলে তোপ দেগেছেন শুভেন্দুকে৷ তবে কোনও দিনই মুখোমুখি হননি তাঁরা৷ শুক্রবার প্রথম বিধানসভা অধিবেশনে সামনাসামনি হলেন শুভেন্দু-মমতা৷   

আরও পড়ুন- স্লোগান-স্লোগানে উত্তাল, একই ফ্রেমে ধরা দিলেও উত্তাপ কমল না ‘ত্রয়ীর’

শুভেন্দুর দলত্যাগের পরেই নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামই হয়ে উঠেছিল হাইভোল্টেজ কেন্দ্র৷ শুরু হয় প্রেস্টিজ ফাইট৷ প্রচারে নেমে একে অপরকে তীব্র আক্রমণ শাসান তাঁরা৷ মমতাকে ‘বেগম’ সম্বোধন করায় তাঁকে শোকজ লেটারও পাঠায় নির্বাচন কমিশন৷ ভোটের ফল প্রকাশের পর কারচুপির অভিযোগ তোলেন মমতা৷ এমনকী আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন তিনি৷ এরপর যশ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রী৷ কলাইকুণ্ডায় রিভিউ মিটিং করেছিলেন তিনি৷ ওই বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও৷ কিন্তু স্রেফ শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক এড়িয়ে যান মমতা৷ যে কথা পরে প্রকাশ্যে চলে আসে৷ এ নিয়ে কম তোলপাড় হয়নি৷  

আরও পড়ুন- ভোট-পরবর্তী হিংসার উল্লেখই নেই রাজ্যপালের ভাষণে! রাজ্যকে তোপ শুভেন্দুর

তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর শুক্রবার প্রথম বিধানসভা বাজেট অধিবেশন শুরু হয়৷ এদিন রাজ্যপালের ভাষণ থেকে শুরু হয় তুমুল হইচই৷ বিরোধী বিধায়করা ওয়েলে নেমে চিৎকার শুরু করেন৷ যার জেরে ৪ মিনিটেই ভাষণ শেষ করতে হয় রাজ্যপালকে৷ শুভেন্দু অবশ্য এর আগে বলেছিলেন, বিধানসভায় তৃণমূলকে চাপেই রাখবেন তাঁরা৷ সেই নীতই নেয়৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বাক্য বিনিময় না হলেও, চলছে ছায়াযুদ্ধ৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 2 =