কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে নতুনভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর ছড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অন্যদিকে বিধানসভায় ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ করা ইস্যুতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিস্ফোরক চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। তবে আজ বিধানসভায় একই ফ্রেমে ধরা পড়লেন তিনজন, কিন্তু তাদের মধ্যে উত্তাপ যে কমলো না তা হলফ করে বলা যায়।
আজ বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণ শুরু হতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি বিধায়করা। ১৪ পাতার ভাষণ করার কথা ছিল রাজ্যপালের কিন্তু মাত্র ৪ মিনিটেই নিজের ভাষণ অসম্পূর্ণ রেখে বিধানসভার ছেড়ে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ভিতরে চলে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। বিধানসভায় প্রবেশ এবং বেরোনোর সময় একই ফ্রেমে ধরা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল। বেশ কিছুক্ষণ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় রাজ্যপালকে, তাঁকে আবার পুষ্পস্তবক দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সামগ্রিকভাবে সৌজন্যতার ছবি ধরা পড়লেও তাঁদের মধ্যে উত্তাপ যে বহাল রয়েছে এবং থাকবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কারণ ভাষণের খসড়া এবং সম্প্রচার বন্ধ ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। অন্যদিকে আবার ভোট পরবর্তী হিংসা ইস্যু তো রয়েছেই।
আরও পড়ুন- মমতার ব্যাপক প্রশংসা, ধনকড়ের ইস্তফা চাইলেন ‘জৈন’ মামলা ফাঁসের কারিগর
এদিকে, বিধানসভা থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার যে ভাষণ খসড়া রাজ্যপালকে লিখে দিয়েছিল সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসার কোন উল্লেখ নেই! শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, রাজ্যপাল অত্যন্ত সংবেদনশীল মানুষ এবং ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি স্বচক্ষে উপলব্ধ করতে তিনি নন্দীগ্রাম এবং শীতলকুচি গিয়েছিলেন। রাজ্য সরকার পরবর্তী ক্ষেত্রে লকডাউন তাঁর যাওয়া আটকাতে করেছে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। এদিকে আজ নিজের ভাষন সম্পূর্ণ না করেই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, সত্যি কখনো লুকানো যায়না কিন্তু রাজ্য সরকার যে ভাষণ লিখে দিয়েছে তাতে মনে হচ্ছে সৈরাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার মত কথা বলা হয়েছে; বাংলার আইন-শৃঙ্খলা যে উদ্বেগজনক সে কথা লেখা হয়নি। এর প্রতিবাদেই হয়তো রাজ্যপাল নিজের ভাষণ সম্পূর্ণ না করে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন।