কলকাতা: দিন কয়েক আগে কৃষক আন্দোলনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ‘আন্দোলনজীবী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে শোরগোল বাঁধে৷ ‘আন্দোলনজীবী’ বক্তব্যের রেশ ধরেই এবার নমোকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র৷
আরও পড়ুন- ‘‘চুরি করা চাল দিয়েই হচ্ছে ‘মা’ প্রকল্প”! ফের বিস্ফোরক শুভেন্দু
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এতদিন শ্রমজীবী, বুদ্ধিজীবী শুনেছি৷ এখন শুনছি আন্দোলনজীবী। এরা আসলে পরজীবী।’ তিনি বলেছিলেন, কিছু মানুষ আন্দোলন ছাড়া বাঁচতে পারে না৷ তাঁদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে৷ মঙ্গলবার তার জবাবেই মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘‘চান্দা জীবী হওয়ার চেয়ে আন্দোলনজীবী হওয়া অনেক ভালো৷’’ নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে মন্তব্য করার সময় রামমন্দির ডোনেশন অভিযান সম্পর্কে কোনও শব্দ খরচ করেননি মহুয়া৷ তবে রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাম মন্দিরের জন্য যে অনুদান সংগ্রহ অভিযানে নেমেছে তাকে খোঁচা দিয়েই এই ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যটি করেছেন তৃণমূল সাংসদ৷
জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে রাম মন্দিরের জন্য অনুদান সংগ্রহের কাজ মসৃণ পথেই এগোচ্ছে৷ আপাতত বর্ধমান এবং হুগলীতে চলছে তহবিল সংগ্রহের কাজ৷ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেই অনুদান দিতে এগিয়ে আসছে সাধারণ মানুষ৷ কম করে ১০০ টাকা তাঁরা জমা দিচ্ছেন অনুদান বাক্সে৷ গত ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির পূণ্যতিথিতে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাড়ি বাড়ি ঘুরে অর্থ সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিল৷ এই অভিযান শেষ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি মাঘ পূর্ণিমায়৷ ইতিমধ্যেই রামন্দির নির্মাণের জন্য ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ৷ এছাড়াও অনুদান এসেছে নামীদামি ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকে৷
আরও পড়ুন- ‘মা কিচেনে’ আধখানা ডিম! প্রথম দিনেই গুরুতর অভিযোগ চন্দননগরে
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে তরজায় বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেস৷ গত ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের জন্ম জয়ন্তীত উপলক্ষে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে আয়োজিত সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ওই অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখতে ওঠা মাত্রই জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠে৷ এর পরেই তিনি মঞ্চ ছাড়েন৷ এর পরেও বহুবার তৃণমূলকে ‘রাম’ খোঁচা দিয়েছে বিজেপি৷ পাল্টা বিঁধেছে শাসক দলও৷