কলকাতা: কয়েক সপ্তাহ আগে নবান্ন অভিযান করেছিল বামেরা। ডিওয়াইএফআই কর্মী মহিদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুতে যখন গোটা রাজ্যে শোরগোল তখন দীপক পাঁজার কথাও জানা যায়। নবান্ন অভিযান শেষে তিনি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। তবে অবশেষে প্রায় এক মাসের মাথায় খোঁজ মিলল তার। বালি স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাকে। নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাওড়া জেলা সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে।
জানা গিয়েছে, অসংলগ্ন অবস্থায় বালি স্টেশনে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে বাম কর্মী দীপক পাঁজাকে। আদতে পাঁশকুড়ার বাসিন্দা তিনি। উদ্ধার হওয়ার পর তাকে একাধিকবার জিজ্ঞেস করা হয় তিনি কীভাবে নিখোঁজ হয়ে গেছিলেন, কিন্তু সঠিক ভাবে কোন উত্তর দিতে পারেননি দীপক। তবে অনুমান করা হচ্ছে, নবান্ন অভিযান নিয়ে আসার দিন বালি স্টেশনে নেবে তিনি পুলিশি তৎপরতায় প্রচন্ড ঘাবড়ে গিয়েছিলেন, সেই কারণে তিনি সেখান থেকে আর কোথাও যেতে পারেননি। তবে এতদিন ধরে তিনি কারও সঙ্গে এবং কোথায় ছিলেন সে ব্যাপারেও স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি দীপক। যদিও আপাতত তার বিশ্রামের ব্যবস্থা করেছে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেবার জন্য ব্যবস্থা করবে তারা। সুস্থ অবস্থায় নিখোঁজ কর্মীকে পাওয়া গেছে, এতেই খুশি লাল বাহিনীর নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: মোদীর ব্রিগেডে মিঠুনের বিজেপি যোগের জল্পনা তুঙ্গে, লাভবান হবে বাংলা, বললেন অর্জুন সিং
চাকরি এবং শিক্ষা সহ একাধিক দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। সেই অভিযানে যোগ দিতে পাঁশকুড়া থানার বাহারপোতা গ্রাম থেকে এসেছিলেন দীপক পাঁজা। পরবর্তী ক্ষেত্রে তার খোঁজ মেলেনি আর। নবান্ন অভিযান এর বাম কর্মী এবং সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ এবং ডিওয়াইএফআই কর্মী মহিদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুতে সরগরম হয়ে গিয়েছিল শহর থেকে রাজ্য। সেই সময় হয়তো নিখোঁজ দীপকের ব্যাপারে অতোটা নজর দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আপাতত তাকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে এই খবর স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে তার পরিবারে।
আরও পড়ুন: হারের ভয় ঐতিহাসিক ‘লং জাম্প’ মেরেছেন মমতা! চরম কটাক্ষ দিলীপের