সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিক সরকার, আস্থা ভোটের দাবি বাম-কংগ্রেস জোটের

সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিক সরকার, আস্থা ভোটের দাবি বাম-কংগ্রেস জোটের

কলকাতা:  আস্থা ভোট ডেকে বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিক রাজ্য সরকার৷ এক সুরে  বিধানসভায় আস্থা ভোটের দাবি তুলল বাম-কংগ্রেস জোট৷ সাংবাদিক বৈঠক করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দাবি জানাল তাঁরা৷ 

আরও পড়ুন- যুব তৃণমূল নেতার বাড়িতে CBI, ‘ভাইপো’কে নিশানা শুভেন্দুর!

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা তথা বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘তৃণমূল ছেড়ে অনেক নেতা মন্ত্রীই চলে যাচ্ছেন৷ অনেককে আবার বলতে হচ্ছে আমি তৃণমূলে আছি৷ আসলে কী ঘটে চলেছে তা নিয়ে ধন্দে পড়েছে সাধারণ মানুষ৷ সরকার কি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে? প্রশ্ন উঠছে৷’’ এই পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের দাবি, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসে যদি ব্যাপক দলত্যাগ না হয়, তাহলে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে আস্থা ভোট নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করুন রাজ্য সরকার৷’’ 

অন্যদিকে এদিন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন , বিধানসভা কেন এড়িয়ে যাচ্ছে সরকার? তবে কি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই বলে ভয় পাচ্ছে? একথা শাসকদলের বিধায়কদের মধ্যে থেকেই উঠে আসছে৷ তাঁরাও চাইছেন বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হোক৷  গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি আটকে রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী কি শঙ্কায় আছেন? সংখ্যা গরিষ্ঠতা যদি নাই থাকে তাহলে তিনি কেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি করে প্রতারণা করছেন?’’ সুজনবাবু আরও বলেন, ‘‘ চাকরি, নিয়োগ, দুয়ারে সরকার বা পাড়ায় পাড়ায় সমাধানের নামে যে প্রতারণা চলছে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়৷ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার তার অবস্থান না জানালে নবান্নে যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না৷’’

আরও পড়ুন- ‘ক্লাস টু পাস’ মন্তব্যে জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে মামলা দিলীপের

মুখ্যমন্ত্রীকে কংগ্রেস-বামেদের চিঠি

বৃহস্পতিবার যৌথভাবে বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে বাম-কংগ্রেস৷ তাঁদের বক্তব্য, ভোট আসছে৷ কিন্তু বিধানসভা এখনও ভঙ্গ করা হয়নি৷ স্থগিত রাখা হয়েছে৷ ফলে সরকার বা স্পিকার চাইলে নতুন করে অধিবেশন ডাকতেই পারে৷ তাই অনাস্থার কথা না বললেও, বিধানসভার অধিবেশন ডেকে আস্থা ভোটের দাবি জানিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট৷ তাঁদের মতে, মানুষ মনে করছে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কোনও আস্থা এই মুহূর্তে নেই৷ তৃণমূলে এখন ভাঙন ধরেছে৷ যে সকল রাজ্যে বিজেপি বিরোধী দলগুলি ক্ষমতায় রয়েছে তারা কৃষি বিরোধী বিলের বিরুদ্ধে রক্ষা কবচ তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে৷ রাজ্য সরকারও যদি কৃষি বিলের বিরোধী হয়, তাহলে তাঁদেরও বিধানসভা ডেকে কৃষি বিলের ক্ষতিকারক দিকগুলি বিবেচনা করে কৃষকদের জন্য রক্ষা কবচ তৈরি করা উচিত৷  

এ প্রসঙ্গে পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায় বলেন, এর আগেও বামেদের অন্ধ বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে৷  রাজীব গান্ধী-ইন্দিরা গান্ধীর বিরোধিতা করেছে৷ এখন বিজেপি’র দমন পীড়নের বিরুদ্ধে তাঁরা দাবি করতেই পারে৷ তবে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রতি মানুষের কতটা আস্থা আছে সেটাও তাদের পরখ করে দেখা উচিত৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *