কলকাতা: গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্র৷ বৃহস্পতিবার সকালে তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিনয় মিশ্রের তিনটি বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই৷ রাসবিহারী, চেতলা ও লেকটাউনের বাড়িতে সিআরপিএফকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালায় সিবিআই অফিসাররা৷ কিন্তু একটি বাড়িতেও তাঁর খোঁজ মেলেনি৷ টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরেও ভিন রাজ্যে বেপাত্তা ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রর খোঁজ চালানো হচ্ছে৷ সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযান নিয়ে টুইটারে ফের ‘ভাইপো’র বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো শুভেন্দু অধিকারী৷
গরু চাপার কাণ্ডের মূল পাণ্ডা এনামুল হক ও কয়লা পাচার কাণ্ডের কিংপিং অনুপ মাজি ওরফে লালার লিঙ্ক ম্যান হল এই বিনয় মিশ্র৷ বিদেশে হাওলার বিপুল নগদ পাচার ছাড়াও, নিজের ব্যবসায় লগ্নির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ এই নগদের উৎস কোথায়? সেই খোঁজ চালাচ্ছে সিবিআই৷ আজ তিনটি বাড়িতে হানা দিয়ে একটিতেও বিনয়ের হদিশ পায়নি সিবিআই৷ তাঁর নামে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, কোন্নগরে অনুপ মাজি ঘনিষ্ঠ দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতেও এদিন তল্লাশি চালায় সিবিআই৷
তৃণমূলের যুব নেতা তথা সাংসদের একটি টুইট রিটুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযান নিয়ে টুইটারে শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ, ‘‘এটাই হল ভাইপোর যোগ্য নেতৃত্ব এবং তার যোগ্য টিমের পরিচয়৷ সত্যিতো ভাইপো পার্টিকে একটা অন্য পর্যায় নিয়েই যাবে৷’’ দ্বিতীয় টুইটে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘বুঝে রাখো, জনতা কিন্তু সব কিছু জানে৷’’ দু’টি টুইটে ‘#তোলাবাজ_ভাইপো_হাটাও!’-এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন শুভেন্দু অধিকারী৷
গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই৷ ইতিমধ্যেই তদন্তে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে৷ সেই তালিকায় এবার জুড়ে গেল তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিনয় মিশ্রের নাম৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মনে করছে, এই বিনিয় মিশ্রের হাত দিয়েই গরু পাচারের কালো টাকা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হত৷ গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সতীশ কুমারকে জেরা করেও উঠে এসেছে বিনয় মিশ্রের নাম৷ এই বিনয় মিশ্র সরকারের এক্স ক্যাটাগরির সুরক্ষা পান কিন্তু গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডে তাঁর নাম জড়াতেই গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি৷