কলকাতা: রাজনীতির ময়দানে ‘ভাষা-সন্ত্রাস’ বিতর্ক দীর্ঘ দিনের৷ রাজনীতির ভাষণ মানেই কি বেপরোয়া শব্দের ব্যবহার? ভাষা ব্যবহারে রাজনৈতিক দলের নেতাদে আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন নয় কি? এই নিয়ে ছিল দীর্ঘ বিতর্ক৷ এবার ভাষা ব্যবহার নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীর নামে এবার মামলা ঠুকলেন বিজেপি বিজেপি সাংসদ৷ যদিও এই দুই রাজনৈতিক নেতার ভাষণে ভাষা ব্যবহার নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি৷ এবার মামলা গড়াল আদালতে৷
গত ১৬ নভেম্বর বারাসতের একটি জনসভায় হাবরা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ৷ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী৷ দিলীপ ঘোষ ‘ক্লাস টু পাস’ বলেও বলেও কটাক্ষ করেন বলে অভিযোগ৷ বলেন,‘‘দিলীপ ঘোষ ভাল করে কিছুই জানে না৷ মাঝে মাঝে অমিত শাহ আসছে আর তাঁদের একটা করে ম্যাপ দেখাচ্ছে৷’’ বিজেপির দাবি, রাজ্যে মন্ত্রীর নাকি বিজেপির সমস্ত নেতাদের কেচ্ছা-কেলেঙ্কারির সঙ্গে জর্জরিত বলে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করেছেন৷ মহিলা-সংক্রান্ত মামলা থেকে টাকা চুরি সবই আছে বলেও দাবি করা হয়৷ বিজেপির সবাই ‘নোংরা’, ‘চিটিংবাজ’ মানসিকতার বলেও নাকি আক্রামণ করেছেন৷
বিজেপির দাবি, মন্ত্রী নাকি মন্তব্য করেছেন, ‘‘বিজেপি বাংলাদেশ থেকে অস্ত্র আমদানি করছে৷ বিএসএফ আর কাস্টমসের মাধ্যমে নির্বাচনে ব্যাবহার করার জন্য৷ দিল্লিতে সব ব্যাবসায়ী প্রোমোটারদের নিয়ে গিয়ে কুকর্ম করাচ্ছেন৷ তাদের টাকা নিচ্ছেন৷ বিনিময়ে তাদের কাজ করিয়ে দিচ্ছেন৷ এই হল দিলীপের ব্যাবসা৷’’ মন্ত্রীর মন্তব্যে নাখুশ গেরুয়া শিবির৷ মন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গত ২০ নভেম্বর দিলীপ ঘোষের পক্ষ থেকে তাঁর আইনজীবী পার্থ ঘোষ আইনি নোটিশ পাঠান৷ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন৷ বিজেপির দাবি, কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও মন্ত্রী কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেননি৷ আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরূদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি ৫০০ ধারায় মানহানির ফৌজদারী মামলা দাখিল করা হয়েছে৷