কলকাতা: আজ মহাপঞ্চমী৷ প্রতিটি মণ্ডপে পুজোর আয়োজন প্রায় সারা৷ বোধনের আগে চলছে শেষ মুহর্তের প্রস্তুতি৷ তবে এবার পুজোয় থাকবে না দর্শনার্থীদের ভিড়৷ হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই মণ্ডপগুলি ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে৷ দূরত্ব বিধি মেনেই করা হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড৷ ঝোলানো হয়েছে নো-এন্ট্রি বোর্ড৷ রাস্তা থেকেই প্রতিমা ও মণ্ডপ সজ্জা দেখছে মানুষজন৷ কোভিড প্রোটোকল মেনেই হচ্ছে পুজো৷ তবে এবার উৎসবে নেই কোনও সমারোহ৷ নেই সেই উচ্ছ্বাস৷ তাই কিছুটা হলেও মনে খারাপ পুজো উদ্যোক্তাদেরও৷
আরও পড়ুন- পুজোর মণ্ডপে নো-এন্ট্রি! এবার বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে যাবেন দেবী দুর্গা! নয়া উদ্যোগ পুজো কমিটির
বুধবার হাইকোর্টে উদ্যোক্তাদের আর্জি খারিজ হয়ে যায়৷ তবে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু বিষয়ে ছাড়৷ বলা হয়েছে, বড় মণ্ডপে ৬০ জন উদ্যোক্তাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে৷ তবে এক সঙ্গে ৪৫ জনের বেশি ঢুকতে পারবেন না৷ ছোট মণ্ডপে ১৫ জন উদ্যোক্তা ঢোকার অনুমতি পাবে৷ এক সঙ্গে ১০ জনের বেশি ঢুকতে দেওয়া হবে না৷ প্রতিদিন উদ্যোক্তাদের তালিকা বদলানো যাবে বলেও জানিয়েছে আদাবত৷ সেইসঙ্গে ঢাকিদের মণ্ডপে থাকার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট৷ তবে মণ্ডপে দেওয়া যাবে না অঞ্জলী৷ হবে না সিঁদুর খেলা৷
আরও পড়ুন- ভোলবদল! তৃণমূলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বিজেপিকে জবাব দেওয়ার হুঙ্কার গুরুংয়ের
এরই মধ্যে এবার পুজোয় থাকছে শিলাজিতের অ্যান্টেনা অ্যাওয়ার্ড৷ ভিড় এড়িয়ে পুজো করলেই মিলবে পুরস্কার৷ যাঁরা সেরা গানের থিম তৈরি করবে তাঁরাও পুরষ্কৃত হবে৷ এই বছর সন্তোষপুর লেক পল্লীর পুজোয় উঠে এসেছে মৃৎশিল্পীদের দুর্দশার ছবি৷ বহু পুজো কমিটি বায়না দেওয়ার পরও প্রতিমা নেয়নি৷ সাজসজ্জাতেও রয়েছে অনেক কমতি৷ কুমোরটুলির সেই দুর্দশার কথাই যেন বলতে চেয়েছেন তাঁরা৷ অন্যদিকে, পরিযায়ী শ্রমিকদের কষ্টের প্রতিচ্ছবি যেন ফুটে উঠছে বেহালার পূজা মণ্ডপে। এবার মহিষাসুরমর্দিনী রুপে নয়, পরিযায়ী উমা রূপে বেহালা বড়িশা ক্লাবে ধরা দেবেন দশোভূজা। পরিযায়ী এক মহিলা শ্রমিকের আদলে তৈরি হয়েছে মূর্তি। শুধু দুর্গা মূর্তি, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী এবং সরস্বতী, সকলেই পরিযায়ী।