কলকাতা: রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ঘিরে চরম উন্মাদনা মহিলাদের মধ্যে৷ দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে ক্যাম্পে দেখা গিয়েছে লম্বা লাইন৷ মানুষের স্বার্থে আরও দরাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা এবার থেকে পরিবারের একাধিক মহিলা পাবেন বলে ঘোষণা করেছেন তিনি৷ যার জেরে এক ধাক্কায় যেমন অনেকটাই বাড়তে চলেছে সুবিধা প্রাপকের সংখ্যা৷ তেমনই বাড়তে চলেছে বাজেট৷
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা: দ্রুত নিস্পত্তি চাইলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
নবান্ন সূত্রে খবর, প্রকল্পের টাকা জোগাড়ের চিন্তায় ঘুম ছুটেছে সরকারি আধিকারিকদের৷ বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কয়েকটা জায়গায় দুয়ারে সরকারে একটু বেশি ভিড় হচ্ছে৷ আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ক্যাম্প চলবে৷ তাই তাড়াহুড়ো বা চিন্তা করার কোনও কারণ নেই৷ প্রয়োজনে সময় বাড়িয়ে দেব৷ পাশাপাশি জানান, বাড়ির একজন মহিলার নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও সুবিধা পাবেন বাকিরা৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর এক ধাক্কায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রাপকের সংখ্যা ১ কোটি ৬০ লক্ষ থেকে বেড়ে হতে চলেছে প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ৷ পাল্লা দিয়ে একলাফে বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে বাজেটও৷ প্রথমে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের বাজেট ধরা হয়েছিল বছরে ১১ হাজার কোটি টাকা৷ নবান্ন সূত্রে খবর, পরিবারের একাধিক মহিলাকে এই প্রকল্পের আওতায় আনায় সরকারের বাজেট পৌঁছতে পারে ১৭ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকায়৷ এই বিপুল অঙ্কের টাকার জোগাড় হবে কোথা থেকে? সেই চিন্তায় ডুবেছেন অর্থ দফতরের আধিকারিকরা৷
আরও পড়ুন- পাওনাদারের ভয়ে দেশ ছাড়তে গিয়ে বিএসএফের জালে বাংলাদেশি পরিবার
প্রথমে বলা হয়েছিল স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকলে পরিবারের প্রধান মহিলা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও পরিবারের অন্যান্য মহিলারাও এই সুবিধা পাবেন৷ যা ঘুম কেড়েছে অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিকদের৷ বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ সংস্থানের জন্য বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের খরচ কাটছাঁট করতে বলেছেন৷ কিন্তু অনেকেই বলছেন শুধুমাত্র দফতরের খরচ কমিয়ে কত টাকার সংস্থান হবে?